মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
জননেতা রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা

স্বাধীনতা আন্দোলনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জননেতা আবদুর রাজ্জাক একজন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সবার মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসভাজন সহচর আবদুর রাজ্জাক দোষ-গুণ মিলিয়ে একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। গতকাল আওয়ামী  লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম লীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জেপি সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, রাকসুর সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর কবির রানা প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু।

আলোচনা সভায় আমির হোসেন আমু বলেন, রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে। পরে শেখ ফজলুল হক মণির নির্দেশে তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। তখন ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একটি লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল আবদুর রাজ্জাকের। প্রতিটি আন্দোলনে তিনি চিঠি দিয়ে হোক বা অন্য যেভাবেই হোক খবর রাখতেন। তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল।

তোফায়েল আহমেদ স্মৃতিচারণা করে বলেন, তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল। শেখ হাসিনার দলে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন রাজ্জাক ভাই। কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন, কর্মীরাও তাঁকে ভালোবাসতেন। ভালো-মন্দ, দোষ-গুণ সবারই থাকে। কিন্তু মানুষ হিসেবে তিনি চমৎকার ছিলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা যখন রাজনীতিতে আসি, তখন ছাত্র রাজনীতিতে সুনামধারীদের মধ্যে ছিলেন আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের মতো লোকেরা। ’৬৯-এর পর তার সঙ্গে আমার পরিচয়। একজন নেতা হিসেবে তিনি ছিলেন আত্মনিবেদিত। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে চূড়ান্ত বলে মনে করতেন।

পীর হাবিবুর রহমান বলেন, আবদুর রাজ্জাক আমাদের নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে হয়। আমি নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করেছি, তিনি বঙ্গবন্ধুর বাকশালের কর্মসূচিকে হৃদয় দিয়ে ধারণ করতেন।

মোজাম্মেল বাবু বলেন, আজ বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে, কিন্তু প্রত্যেক মানুষের কাছে এর সুবিধা পৌঁছায়নি, গ্রামীণফোন আমাদের কথা শোনে না। এসব সমস্যার সমাধান বঙ্গবন্ধুর বাকশালে ছিল।

সর্বশেষ খবর