শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাহাড়ে পর্যটকের ঢল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে পর্যটকের ঢল

পাহাড়ে নামছে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ঢল। প্রতিদিন পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনে আসছেন দুই থেকে চার হাজার পর্যটক। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে লাখো মানুষের অরণ্যে পরিণত হয়। শুধু রাঙামাটি নয়, এমন পর্যটক উৎসবে মেতেছে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। সবুজ অরণ্যের পার্বত্যাঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। সমতলের চেয়ে পাহাড়ে শীত তুলনামূলক কম থাকায় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অগণিত পর্যটকের আগমনে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই কোথাও। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ভিড় থাকে বেশি। অন্যদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে শতভাগ বুকিং রয়েছে শহরের আবসিক হোটেল, মোটেল ও সরকারি রেস্ট হাউসগুলো। কোথাও কক্ষ খালি নেই। সড়কে, সড়কে পিকনিক পার্টি ও ভ্রমণপিপাসুদের গাড়ির বহরের ভিড় যেন লেগে আছে। সরেজমিন দেখা গেছে, শুক্রবার রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য। প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝরনা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। আবার কেউ প্রকৃতিতে উজাড় করে দিচ্ছেন নিজেকে। শীতের উষ্ণতায় হ্রদ, পাহাড় আর কুয়াশার লুকোচুরি খেলার দেখা মেলে এখানে। তাতেই মুগ্ধ পর্যটকরা। রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্সের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সূর্য্য সেন ত্রিপুরা জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স, ডিসি বাংলো পার্ক, পলওয়েল পার্ক, সুভলং ঝরনা, আসামবস্তি সড়ক, প্যাদা টিং টিং, বরগ্যাং ও ফুরামন পাহাড়ের মতো অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে রাঙামাটিতে। এসব স্থানে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে রেস্টুরেন্ট ও বিনোদন কেন্দ্র। রেস্টুরেন্টগুলোতে মিলছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন খাবার। যার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছে পাহাড়িদের তৈরি পোশাক ও পণ্যসামগ্রী। ফলে চাঙ্গা হয়ে উঠছে স্থানীয় ক্ষুদ্র পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো। একই সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাপ্তাই হ্রদের নৌ-ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসায়ীরা। দিনরাত ছুটছেন তারা কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে। রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, শীতের শুরু থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন হাজার পর্যটক আসছেন এখানে। বিশেষ করে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাঙামাটি কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলের সব কক্ষ পূর্ণ। আর ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক আসছেন অগণিত। রয়েছেন বিদেশি পর্যটকও। তাদের জন্য রয়েছে পূর্ণ নিরাপত্তা। তিনি আরও বলেন, এ বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চার কোটি টাকা। এভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে আশা করি পর্যটন কমপ্লেক্সে রাজস্ব আয় বাড়বে কয়েক গুণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর