শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ভোট কেন্দ্র দখল নিয়ে দম্ভোক্তি

সংসদ সদস্য নদভীর ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভীর বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। আলোচিত-সমালোচিত সংসদ সদস্য নদভীর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তার ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে এরই মধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান।  একই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে তারা গুরুত্ব সহকারে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ তদন্তের কথা জানান। গত বুধবার রাতে নগরীর লালখান বাজারের মোছলেম উদ্দিনের বাসভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী স্বীকারোক্তি দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় একাই সাতটি কেন্দ্র দখলে নিয়েছিলেন তিনি। এমনভাবে নিয়েছিলেন তাকে অনেকে ‘গুন্ডা-সন্ত্রাসী’ হিসেবেই ডাকছিল এমন স্বীকারোক্তিও দেন। এবারও ‘নিজের সর্বোচ্চ’ দিয়ে বাদলের শূন্য চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদকে জিতিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নদভী। একই ভিডিওতে নদভীকে বলতে শোনা যায়- ‘আমরাও ইনশা আল্লাহ কাজ করব। চান্দগাঁওতে কাজ করব, বোয়ালখালীতে কাজ করব। বোয়ালখালীতে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গে অলরেডি আমি কথা বলেছি। যেভাবে আমাদের নেতৃবৃন্দ নির্দেশনা দেন সেভাবে আমরা কাজ করব ইনশা আল্লাহ এবং মোছলেম ভাইকে ইনশা আল্ল্রাহ আমরা এমপি বানিয়ে সংসদে নিয়ে আসব।’ বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান অভিযোগ করেন- আসন্ন নির্বাচনের নীলনকশা এবং দম্ভোক্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা শুনে সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত এবং আদৌ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা জনগণের মধ্যে সংশয় সন্দেহ বিরাজমান। সংসদ সদস্য যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা নির্বাচন বিধিমালা-২০০৮ এর পুরোপুরি লঙ্ঘন ও বেআইনি। জনপ্রতিনিধি হয়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে জনগণের ভোটাধিকার হরণের যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ন্যক্কারজনক। সংসদ সদস্যের এ বক্তব্য রীতিমতো নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন আচরণ বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার শামিল।

সর্বশেষ খবর