শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ছয় সদস্য গ্রেফতার

নাশকতার পরিকল্পনায় ডাকাতিতে হুজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাগারে বন্দী সদস্যদের জামিনের অর্থ সংগ্রহ, নতুন কর্মী দলভুক্ত করে নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নিজেদের জীবন ধারণের অর্থ সংগ্রহ করতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশ (হুজিবি) এখন ডাকাতির পেশা বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সারা দেশে নতুন করে তাদের গোপন তৎপরতার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।  

গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা  থানা এলাকা থেকে হুজিবির ছয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব জানতে পারে সিটিটিসি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- বিল্লাল হোসেন (২৫), নূর আলম (২৮), রফিকুল ইসলাম (২৯), আবুল মিয়া (৩৫), আবদুর রহমান (৩০) ও আক্তার  হোসেন (৩৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ মিলি চেতনানাশক পদার্থ, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু, দুটি মুখোশ ও একটি খেলনা পিস্তল জব্দ করা হয়। গতকাল বেলা ১১টায় গুলিস্তানে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সিটিটিসির মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন এক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, হুজিবির এই গ্রুপের মূল নেতা উজ্জ্বল ওরফে রতন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছে। এই গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য হলো ডাকাতি করে লুণ্ঠিত অর্থ তাদের সংগঠন গোছানোর কাজে ব্যবহার করা। সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও কারাগারে বন্দী সদস্যদের জামিনের অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তারা নানা পরিকল্পনা করেছিল। এরই মধ্যে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে গত ৪ মার্চ হুজিবির ১২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যারা ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ছিল। সিটিটিসি সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়াদের গ্রুপের দলনেতা বিল্লাল হোসেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানিয়েছে, সংগঠন পরিচালনা, সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ডাকাতিকে তারা  পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা ক্লোরোফম দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি করত। 

সর্বশেষ খবর