রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি

শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে গতকাল সূর্যের দেখা মেলায় শীতের দাপট কিছুটা কমলেও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ। হালকা ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে। গতকাল ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গিয়ে দুই দিন পর জেলায় সূর্যের  দেখা মেলে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে উত্তরের জনপদে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের ঢাকা অফিসের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, গতকাল দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী, রংপুর বিভাগ ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালকা ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। মাঝরাত থেকে ভোর পর্যন্ত মাঝারি কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে পারে দেশ।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক  তোফাজ্জল হোসেন জানান, সূর্যের দেখা মেলায়   দিনাজপুরে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা বেড়ে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। এ জেলায় শুক্রবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস  রেকর্ড করা হয়। গত ২ দিন জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, প্রচ- শীতে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার শ্রমজীবী মানুষ। তারা কাজে যেতে পারছেন না। শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা বলেন, বহির্বিভাগে রোগীর আগমন বেশি হলেও ভর্তির সংখ্যা স্বাভাবিক। তবে হাসপাতাল ছাড়াও ব্যক্তিগত চেম্বার ও ক্লিনিকে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর