কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রলীগ নেতার হুমকির পর আওয়ামী লীগ নেতার নির্মাণাধীন ভবন ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল লাকসাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি লাকসাম পৌর এলাকার নশরতপুর গ্রামে নিজের ক্রয়কৃত জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন লাকসাম কান্দিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন। ২৬ ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নির্মাণাধীন ঘরের প্রায় ৬০ বর্গফুট দেয়াল ভেঙে ফেলে। একই রাতে নির্মাণস্থলে রাখা ২৫ ব্যাগ সিমেন্ট পানিতে ফেলে দেয়। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মোটর ও শ্রমিকদের যন্ত্রাংশ লুট করা হয়। এর আগেও প্রাচীর নির্মাণকালে বেশ কয়েকবার রাতের আঁধারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে লাকসাম পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ হোসেন আমাকে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলে। এর আগেও বেশ কয়েকবার সে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। বিষয়টি তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। এরপর রাতের আঁধারে কে বা কারা দেয়াল ভেঙে ফেলে। ২৫ ব্যাগ সিমেন্ট পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মোটর ও শ্রমিকদের যন্ত্রাংশ লুট করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে জমি ক্রয় করায় সোহাগ বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। সে আগে করত ছাত্রদল, এখন করে ছাত্রলীগ। নতুন আওয়ামী লীগের কাছে পুরনো আওয়ামী লীগের দাম নেই!’
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘সীমানাপ্রাচীর করলে সোহাগদের সমস্যা হতে পারে বলে তারা আপত্তি জানিয়েছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধান করে দিয়েছি। এখন মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিনের বাড়ির ভিতরে রাতের আঁধারে ক্ষতি করার অভিযোগ পেয়েছি। সোহাগরা এর সঙ্গে জড়িত তাও বলতে পারছি না। অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি।’ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন আমার প্রতিবেশী। তার সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।’ এ কথা বলেই ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
