রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

শার্শার কদমবিল এখন দেশি-বিদেশি পাখির অভয়াশ্রম

বকুল মাহবুব, বেনাপোল

শার্শার কদমবিল এখন দেশি-বিদেশি পাখির অভয়াশ্রম

মৌসুমি বায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখির আগমনে মুখরিত ও অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে শার্শার কদমবিল। ১৫০ গজ দূরেই ওপারে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া, পাশেই সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম। এই গ্রামের পাশেই প্রায় ৭০ বিঘা জমির জলাশয় নিয়ে কদমবিল। কদমবিলে হরেক রকম পাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত পাখিপ্রেমী ও নারী শিশুসহ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে কদমবিলে। উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক দৃশ্য। দর্শনার্থী আবদুল জব্বার ও আলী হোসেন বলেন- সরাইল, পানকৌড়ি, ডংকুর, বেগ ও কাসতেচুড়াসহ অসংখ্য পাখি চরছে জলাশয়ে। উড়ছে তারা আকাশ নীড়ে। পাখির কিচিরমিচিরে মুগ্ধ হচ্ছে মানুষ। দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন স্থান থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখি। দেখছে সবাই প্রাণভরে, মন জুড়াচ্ছে ঘুরেফিরে। গ্রাম ও শহর থেকে আসছে মানুষ অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে। প্রকৃতির দৃশ্য ও পাখির আওয়াজ দেখছে তারা প্রাণখুলে। শিশু যেমন মাতৃক্রোড়ে সুন্দর, তেমনি পাখি সুন্দর নির্জন জলাশয়ে। এ অভয়াশ্রমে এসে পুলকিত তারা। দুর্গাপুর গ্রামের মনির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী বলেন, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা যদি অভয়াশ্রমের পাখির খোঁজখবর নিতেন তাহলে আরও বেশি পাখি এখানে আসত। তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন। লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম জানান, পাখির এ অভয়াশ্রম রক্ষায় গ্রামবাসী কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। কদমবিল পরিদর্শন করেছেন তিনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, সন্ধ্যায় আসে হাজার হাজার পাখি। সকালে খাদ্যের সন্ধানে ফিরে যায় তারা। তবে উপজেলার অনেক স্থানে পাখি শিখারিরা ফাঁদ ও এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছেন। এ পাখি শিকারিদের আমরা কঠোর নজরদারিতে রাখছি। পরিবেশে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কদমবিলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাখি সংরক্ষণে কাজ করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

সর্বশেষ খবর