সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মধুর ক্যান্টিন ও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

ঢাবিতে ছাত্রলীগ ও নূরদের সংবাদ সম্মেলন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন ও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া বিএনপির কার্যালয়ের সামনে তিনটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়। কারা কেন এ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার একই স্থান থেকে অবিস্ফোরিত একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হলো, এটা তারই ধারাবাহিকতা। তবে যে মহলটি এটা করছে তারা নিশ্চয় কোনো সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করছে না। আমরা তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল টিমের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, সার্বিকভাবে এতে প্রক্টরিয়াল টিমের কোনো ব্যর্থতা নেই। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য এমন পথ বেছে নেওয়ার আমরা নিন্দা জানাই। এদিকে, গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। উদ্ধার হয় অবিস্ফোরিত তিনটি ককটেল। মতিঝিল জোনের সিনিয়র এসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গ্রুপ এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে এটা সাধারণ ককটেল ছিল। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাবিতে ছাত্রলীগ ও নূরদের সংবাদ সম্মেলন : ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর ও তার সংগঠন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ডাকসু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবি করেছেন এজিএস সাদ্দাম হোসেন। তার দাবি, পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষ ঘটিয়ে নিজেদের বিপ্লবী ভূমিকা জাহির করতে ও ‘সিমপ্যাথি পলিটিক্সে’ ভাবমূর্তি গড়ার জন্য তারা এ হামলা করেছে। গতকাল ডাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত অপর এক সংবাদ সম্মেলনে ভিপি নূর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ’ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির নেতারা। হামলার পর মামলা সম্পর্কে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও আমাদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেফতারও করা হয়েছে, অন্তরীণ রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা এসবে বিচলিত নই।

এ সময় ডাকসু ভবনে হামলার কয়েকটি ছবি দেখিয়ে বলা হয়, সেদিনের হামলায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নিলেও পুলিশের করা মামলায় শুধু মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাদের নাম এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন মোল্লা অভিযোগ করেন, বর্তমানে হাসপাতালে আমাদের আটজন ভর্তি রয়েছেন। তাদের কারও কারও অবস্থা সংকটাপন্ন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের বক্তব্য আর আমাদের যারা আহত হয়েছে, তাদের কথার মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, মশিউর রহমান, হাফিজুর রহমান খান ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর