সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিশ্ব ইজতেমায় আট স্তরের নিরাপত্তা

মোস্তফা কাজল, টঙ্গী থেকে ফিরে

এবারের বিশ্ব ইজতেমায় থাকছে আট স্তরের নিরাপত্তা। আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। যা ১২ জানুয়ারি  আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি। যা ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। গত বছরের মতো এবারও প্রথম পর্বে মাওলানা  জোবায়েরপন্থিরা ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করবেন। এরপর দ্বিতীয় পবের্র আয়োজন করবেন মাওলানা সা’দ অনুসারীরা। ময়দানে আগত সব জেলার মুসল্লিরা ৮৪ খিত্তায় অবস্থান নেবেন। ইজতেমা মাঠে আট স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আখেরি মোনাজাতের সময় ইজতেমা মাঠের ওপরে আকাশে টহল দেবে র‌্যাবের হেলিকপ্টার। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ইজতেমার মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে এবার ৮ স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সাত হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

পাশাপাশি র‌্যাবের আড়াই হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ জন্য ২৪টি ওয়াচ টাওয়ার, ৪১টি সিসি ক্যামেরা, নৌ-টহল, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি, বোম ডিসপোজাল টিম ও ভিডিও ধারণ করা হবে। এ ছাড়া মহানগর পুলিশের উদ্যোগে প্রতিটি খিত্তায় ছয়জন করে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। গতকাল সরেজমিন ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁবু টানানোর কাজ শেষ হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন সংযোগ, পানি সরবরাহের কাজও শেষ। সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি পৃথক পাঁচটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমা মাঠের প্রবেশ পথে ১২টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫টি, র‌্যাবের পক্ষ থেকে ৯টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের ওজু, পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির জন্য ১৩টি গভীর নলকূপ চালু থাকবে। টঙ্গী ও আশপাশের সিনেমা হল বন্ধ এবং দেয়ালের অশ্লীল পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের রান্নার জন্য ১৩৬টি গ্যাসের চুলা ও বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবায় ৪০টি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তাবলিগের মুরব্বি মেজবাহ উদ্দিন জানান, বহির্বিশ্বের তিন শতাধিক জামাত বাংলাদেশে রয়েছে। সব জামাতের সাথীরা ইজতেমায় অংশ নেবেন। ইজতেমায় অংশ নিতে এক মাস আগে থেকে বিদেশি মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। কাকরাইল মার্কাজের মুরব্বিদের তত্ত্বাবধানে এবং নির্দেশনা মতে তারা ইজতেমা ময়দানে যোগ দেবেন।

সর্বশেষ খবর