বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
উদ্ভাবন

উচ্চ ফলনশীল চেরি টমেটোর নতুন জাত

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

দেশীয় আবহাওয়ায় চাষ-উপযোগী জনপ্রিয় চেরি টমেটোর নতুন জাতের সফল অভিযোজন সম্পন্ন হয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি)। ‘গোল্ডেন পূর্ণা (সাউ চেরি টমেটো)’ নামে অনিয়ন্ত্রিত ফসলের জাত নিবন্ধনের আওতায় জাতীয় বীজ বোর্ড সম্প্রতি নতুন এ জাতটির অনুমোদন দিয়েছে। জাপান থেকে বীজ এনে দীর্ঘ ৫ বছরের গবেষণায় জাতটির অভিযোজন সফলতার মুখ দেখে। শেকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। গবেষণাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন একই বিভাগের এমএস ফেলো রাকিবুজ্জামান মনি ও রাহুল শেখ। গোল্ডেন পূর্ণা সম্পর্কে গবেষক ড. জামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জাতটি মুক্ত পরাগায়ন (ওপেন পলিনেটেড ক্রস) সম্পন্ন হওয়ায় কৃষক খুব সহজে উৎপাদিত ফসল থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে পারবে। অন্য জাতের বেলায় গাছের সব ফল একটি নির্দিষ্ট সময়ে উত্তোলন করতে হলেও এর বেলায় সময়ে সময়ে ফলের পরিপক্বতা আসে বিধায় টমেটোর বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতে দুর্ভোগ লাঘব হবে। উচ্চমাত্রায় ক্যারোটিনয়েড ও লাইকোপিন বিদ্যমান থাকায় গোল্ডেন পূর্ণা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ চোখ ও হৃদপিন্ডের জন্য উপকারি বলেও জানান তিনি।

 গবেষক দল জানান, একেকটি গাছে ৭-৮ কেজি ফলন হয় এবং হেক্টর প্রতি প্রায় ১৬০ টন যা অন্যান্য জাতের ফলনের তুলনায় দ্বিগুণ।

সব ধরনের মাটিতে এটি চাষাবাদ উপযোগী হলেও তুলনামূলক বেশি জৈব সার প্রয়োগ করে দোআঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস জমিতে চারা প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত সময়। চারা প্রতিস্থাপনের ৩০-৩২ দিন পর গাছে ফুল আসে। জাতটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে ড. জামাল বলেন, চাষি পর্যায়ে জাতটি বিস্তৃতির উদ্দেশ্যে শিগগিরই বিনামূল্যে বীজ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারি সহযোগিতা পেলে জাতটি দ্রুতই জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর