শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্যে রামরাই সামরাই দীঘি

আবদুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্যে রামরাই সামরাই দীঘি

শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রামরাই সামরাই দীঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখিসহ দেশি নানা প্রজাতির পাখির দল এসেছে। হাজার হাজার পাখির আগমনে পুরো দীঘি এলাকা পাখির কলরবে মুখরিত।

দেখে মনে হতে পারে পাখির স্বর্গরাজ্য। আর তাই স্থানীয়রা প্রতিনিয়তই এসব পাখির প্রতি দৃষ্টি রাখছে অতিথির মতো। সারা দিন দীঘির জলে সাঁতার কাটা আর সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে দীঘির পাড়ের লিচু গাছে আশ্রয় নেয় তারা। ভোরে সূর্যের আলো দেখা দেওয়ার আগেই পুনরায় খাবারের সন্ধানে নেমে পড়ে এ দীঘির জলে। দেশীয় পাখিসহ এসব অতিথি পাখির মিলনমেলা দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এ দীঘিতে ছুটে আসছেন প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমীরা। পাখি দেখতে আসা সুমাইয়া আক্তার বলেন, শুনেছিলাম এই দীঘিতে নাকি অনেক পাখি আসে। কিন্তু কখনো দেখিনি। এবার প্রথম দেখলাম। আসলেই পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগল এত বড় দীঘি দেখে। রামরাই দীঘি এলাকার বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, সারা দিন অনেক মানুষ আসে এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। এদের কল-কাকলিতে মুখর হয়ে আছে দীঘি এলাকা। আমরা এলাকাবাসী সজাগ আছি কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে। এর পরেও অনেকে আসে এদের শিকার করতে। কিন্তু আমরা করতে দেই না। পাখিপ্রেমী রেজাউল হাফিজ রাহী জানান, এখানে যে পাখি এসেছে তার মধ্যে ছোট সরালিই সবচেয়ে বেশি। আরও নানা প্রজাতির ছোট-বড় অনেক পাখিই রয়েছে। পাখিরা যাতে আমাদের এখানে নির্ভয়ে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অতিথি পাখির আগমনে এ এলাকার যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তেমনি এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও সহযোগিতা করে। রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা জানান, দিনাজপুরের রাম সাগরের মতো রামরাই সামরাই দীঘিটি বেশ বড়। যেটি আমাদের এই রানীশংকৈলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই ছোট সরালি জাতের পাখিসহ অতিথি পাখিরা আমাদের এই দীঘিতে প্রতি শীত মৌসুমেই আসে। এদের শিকারির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জনসচেতনতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

সর্বশেষ খবর