রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারে আবারও গামছা পেঁচানো এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির বয়স ৪০-৪৫ হবে বলে পুলিশের ধারণা। শুক্রবার রাত সোয়া ২টায় বনানীগামী কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল   কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, ১০ ডিসেম্বর ভোরে    কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪০) লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। খিলক্ষেত থানার এসআই মো. মোফাখখারুল ইসলাম এমরান জানান, শুক্রবার রাতে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। নিহতের পরনে ছিল ফুলহাতা শার্ট, নীল রঙের সোয়েটার ও লাল চেক ট্রাউজার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন রানা জানান, কুড়িল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। ফ্লাইওভারের সড়কবাতির অনেকগুলোই নষ্ট। যে স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সে স্থান ছিল অন্ধকার।

এর আগে, ১০ ডিসেম্বর ভোরে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪০) লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তার পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্ট। তার গলায়ও গামছা পেঁচানো ছিল। পুলিশ তখন বলেছিল, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে অন্য কোথাও বা গাড়িতে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফ্লাইওভারে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা হয়েছিল।

গতকাল এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান জানান, নিহতের নাম ছিল আক্তার হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট। তিনি জুয়েলারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। এ হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ছিল ছিনতাইকারী। তারা আক্তারকে প্রাইভেটকার বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফ্লাইওভারে ফেলে যায়।