কক্সবাজারের টেকনাফে এক নারী মাদক কারবারির গুলিবিদ্ধ লাশ ও চট্টগ্রামে দুই বিদেশিসহ তিন ফুটবলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের টেকনাফে এক নারী মাদক কারবারির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা মৃত নূর সালামের স্ত্রী সমুদা বেগম (৪০)। পুলিশের ভাষ্য, নিহত নারী একজন ইয়াবা কারবারি। তিনি পেটের ভিতর করে ইয়াবা পাচার করতেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নারীর বিরুদ্ধে দুটি মাদক মামলা রয়েছে। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে খারাংখালী লবণের মাঠ এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। সাড়ে ৭ হাজার ইয়াবাসহ তিন ফুটবলার গ্রেফতার : নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, চট্টগ্রামে দুই বিদেশিসহ তিন ফুটবলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ  থেকে ৭ হাজার ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে ঘানার দুই খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার বাংলাদেশি ফুটবলার মো. মাসুদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতাকৃত দুই বিদেশি ফুটবলার হলেন ঘানার নাগরিক ফ্রাঙ্ক টিম টম (৪০) এবং রিচার্ড জিফা এপিয়া (২৯)। বাংলাদেশি অপরজনের নাম মো. মাসুদ (২৬)। মাসুদ কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তার দাবি, তিনি জাতীয় দলের ফুটবলার। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একটি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলে খেলতেন। অন্যদিকে ঘানার ওই দুই নাগরিক নিজেদের ফুটবলার দাবি করে জানিয়েছেন, ক্লাব ফুটবল খেলতে ঘানা থেকে এসেছেন তারা। গত ৪-৫ বছর ধরেই তারা বাংলাদেশে ফুটবল খেলছেন।

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে আমরা ইয়াবাসহ ২ বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাসুদ নামে আরেকজনকে সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দাবি করছেন তারা ক্লাব ফুটবল খেলেন। তবে এই বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।