বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ফলাফল পেতে একটু সময় লাগবে

-ড. নাজনীন আহমেদ

ফলাফল পেতে একটু সময় লাগবে

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, বিদায়ী বছরের রাজনীতির মাঠ বেশ শান্ত ছিল। তবে এটা শুধু বিদায়ী বছরেই নয়, গত প্রায় ৫-৬ বছর ধরেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এ সময়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা করতে সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেগুলোর ফলাফল পেতে আরও একটু সময় লাগবে। এই ধরুন মেগাপ্রকল্প হিসেবে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসব প্রকল্প তো একদিনে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় দিতে হবে। এর পাশাপাশি সারা দেশে ১০০টি ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে সরকার। সেসব প্রকল্প সমাপ্ত হলে দেশের অর্থনৈতিক, বিনিয়োগসহ সার্বিক পরিস্থিতি বদলে যাবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরপূর্তি উপলক্ষে সাফল্য ব্যর্থতা মূল্যায়নে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। নাজনীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খাতে কিছুটা সংকট রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেমন-২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ নিয়মিত করা। সব ক্ষেত্রে এক অঙ্কের সুদের হার বাস্তবায়ন করা। এসব উদ্যোগ অবশ্যই এ খাতের জন্য ইতিবাচক। কেননা ক্ষমতাবান, বড় ও স্বভাবগত ঋণখেলাপিদের ধরতে হলে ক্ষমতা দিয়েই ধরতে হবে। তাদের আইন দিয়ে কখনো আটকানো যায় না। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্বদিচ্ছাও। গত এক বছরে সরকার এ কাজটা করার চেষ্টা করেছে বলে মনে করি।

 ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, বিদায়ী ২০১৯ সালে রাজস্ব আদায়ে সরকার কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে যে ধরনের প্রস্তুতির দরকার ছিল সেখানে এনবিআরের কিছুটা ঘাটতি ছিল, যার ফলে ভ্যাট আদায়ের মাধ্যমে অধিক রাজস্ব আদায়ের যে পরিকল্পনা ছিল সেটা করতে পারেনি সরকার। অন্যদিকে রপ্তানিতে খরচ বেড়েছে। এ কারণে চায়না-আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধের সুফলটা আমরা নিতে পারছি না। এখানে ভিয়েতনাম বেশি লাভবান হচ্ছে। এখানে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। আগামী দু-এক বছরের মধ্যে দেশের অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এক বছর ধরে যেসব মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে সেগুলোর কাজ শেষ হলে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। অনেকেই সিঙ্গেল ডিজিট সুদ হারের বিপক্ষে মত দিয়েছেন কিন্তু আমি এটার পক্ষে কেননা উৎপাদন খাতের খরচ কমাতে এটা এক ধরনের প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করি। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য খাতের মধ্যে সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জিডিপি প্রবৃদ্ধির অর্জন সবগুলোতেই গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর