মানবিকতা ও মানুষের স্বার্থই ছিল যার আন্দোলন-সংগ্রামের বিবেচ্য বিষয়। নিজের সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে মহত্ত্বের ছাপ রেখেছেন। এজন্যই তিনি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী থেকে মানুষের ভালোবাসায় হয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। এই কীর্তিমানের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপনে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ‘গান্ধী ১৫০ আর্ট’ প্রদর্শনী। ১০ দিনের এই প্রদর্শনীতে ৩০টি চিত্রকর্ম, ১৮টি আলোকচিত্র ও দুটি ভাস্কর্যসহ ৫০টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এর আগে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি ও এইচ এম ইব্রাহিম এমপি। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব : নাচ, গান, অ্যাক্রোবেটিক শো, লোকনাট্য সংস্কৃতির নান্দনিক সব কর্মযজ্ঞে জমে উঠেছে শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চ ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। কনকনে শীত উপেক্ষা করে মনোজ্ঞ এসব আয়োজন উপভোগে শিল্পকলা একাডেমিজুড়ে বিনোদনপিপাসুদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। আয়োজনের শুরুতেই একাডেমির নন্দনমঞ্চে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। এরপর একাডেমি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও চমকপ্রদ শারীরিক কসরতের মধ্য দিয়ে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শীতের সন্ধ্যাকে অনন্য করে তোলেন শিল্পীরা। এ দিনের আয়োজনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা পর্বে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে হিসাম, শুপ্ত, তেসিফ, জাবের, সাফিন ও স্বর্ণালি। একক আবৃত্তি করে লায়লা আফরোজ। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালচারাল একাডেমি। এরপর জেলার পরিবেশনা পর্বে অংশ নেয় রাজবাড়ী, বগুড়া ও মৌলভীবাজার জেলার শিল্পীরা। সব শেষে রাত ৮টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘গুণাই বিবির পালা’। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে ২১ দিনের এই উৎসব।