বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ক্যাবের প্রতিবেদন

জীবনযাত্রার ব্যয় ২০১৯ সালে বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্য সমাপ্ত ২০১৯ সালে ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং পণ্যমূল্য ও সেবার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জীবনযাত্রার ব্যয় ও ভোক্তা-স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন ২০১৯-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।  ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ২০১৯ সালে চালের মূল্য ছিল সহনীয় এবং নিম্নমুখী। তবে বছরের শেষে চাল, আটা, ডিম, শাক-সবজিসহ কিছু পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমমুখী ছিল। পিয়াজ, এলাচি, রসুন ও আদা ব্যতীত অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বহুলাংশে স্থিতিশীল ছিল। এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, কারা কারণে-অকারণে মূল্য বৃদ্ধি করছে তাদের খুঁজে দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশে চালের দাম বাড়ছে আর কৃষক ধানের দাম পায় না। এই দ্রব্যমূল্যের ব্যয় সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের দিক তুলে ধরতে ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানায় ক্যাব। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে পিয়াজ ছিল সর্বাধিক আলোচিত পণ্য। বছরের শুরুতে এর দাম ছিল প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। নভেম্বর মাসে তা বেড়ে খুচরা বাজারে ২৫০ টাকা বা তারও বেশি বিক্রি হয়েছে। উৎপাদন মৌসুম শুরুর পরও ডিসেম্বরের শেষে পিয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি।

 এ বছর দেশি পিয়াজের দাম বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং আমদানি করা পিয়াজের দাম বেড়েছে ৭১ দশমিক ১১ শতাংশ। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বাড়ি ভাড়া বেড়েছে গড়ে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। বস্তির ঘরভাড়া ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও মেসের ভাড়া বেড়েছে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। বাসাবাড়িতে বার্নার গ্যাসের চুলার ব্যয় বেড়েছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি জনসাধারণের জীবনমানে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ২০১৯ সালে রাজধানীতে যানজটের তীব্রতা বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী গত বছরে সড়ক রেল ও নৌ পথে ৪ হাজার ৮৯৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫৩ শতাংশ আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস হয়। গত বছর এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে আইন বাস্তবায়নে শৈথিল্য দেখা দিয়েছে। হাইওয়ে সম্প্রসারণ, জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস হলেও যাত্রী ও পরিবহন ব্যয় কমেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোজ্যতেল, লবণ, চিনি, সাবান, পান সুপারি ইত্যাদি পণ্যের দাম কমেছে।

সর্বশেষ খবর