বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

জমজমাট সাংস্কৃতিক উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

জমজমাট সাংস্কৃতিক উৎসব

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২১ দিনের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য, যন্ত্রসংগীত, লোকজখেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল গান, লোকনাট্য, যাত্রা, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের  কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের  পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্র্যান্ডিংবিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা বর্ণিল আয়োজন থাকছে উৎসবের অনুষ্ঠানমালায়। আর এসব সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠন। এ ছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টায় থাকছে একটি লোকনাট্যের পরিবেশনা। গতকাল ছিল ২১ দিনের এই উৎসবের ষষ্ঠ দিন। যথারীতি জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়েই বিকালে একাডেমির নন্দনমঞ্চে শুরু হয় এ দিনের আয়োজন। এতে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীতে অংশ নেন শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার শিল্পীরা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পী পর্বে একক সংগীত পরিবেশন করেন শুসমী এবং শিশুশিল্পী সাদিয়া সেমন্তী শ্রেয়সী। এরপর ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ এবং ‘চলো এগিয়ে যাবো’ দুটি গানের সঙ্গে দুটি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নন্দন কলাকেন্দ্র। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং একক আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী আহকামউল্লাহ। এরপর জেলার পরিবেশনা পর্বে নিজ নিজ জেলার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে অংশ নেন পটুয়াখালী, বান্দরবান ও  নরসিংদী জেলার শিল্পীরা। সব শেষে রাত ৮টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বরিশালের মা মনসা সম্প্রদায় পরিবেশন করে লোকনাট্য ‘বেহুলা লখিন্দর’। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে ২১ দিনের এই উৎসব।

ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ : কবিতার দীপ্ত উচ্চারণে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পীরা। দরাজকণ্ঠে ঢাকার রাজপথকে উত্তাল করে তুলেছেন তারা। ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শুরু হয় তিন দিনের এই কবিতার আসর। ‘চিৎকার করো মেয়ে, দেখি কতদূর গলা যায়’ কবিতাটির আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আসর। এরপর পর্যায়ক্রমে আবৃত্তি করেন শান্তা তাওহীদ, মুনমুন খান, বিরেইন, তিথি, তামান্না পারভিন ছন্দা,  সৈয়দা সালমা শিরিন, শারমিন নাহার, তাহেরা আফরোজ, আফরিন খান, সাবিরা মাহবুব উর্মি, সিফাত সালাম, তানজিয়া তাজিম, খন্দকার শামীমা সুলতানা, তামান্না তিথি, জেবুন নেসা খানম প্রমুখ। এ সময় তারা স্বরচিত কবিতাসহ শামসুর রাহমানের ‘দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের গান’ কবিতা আবৃত্তি করেন। এ আয়োজনে সংহতি জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক  জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ, আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। কাল শেষ হবে তিন দিনের এই কবিতার আসর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর