ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী হত্যাচেষ্টার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। তাঁর সাবেক গাড়িচালক নাজমুল আলমকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে এ রহস্য। পুলিশ বলছে, তাকে না ধরা পর্যন্ত রহস্য জানা যাচ্ছে না। সোমবার রাতে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবুল হাসান ও বর্তমান গাড়িচালক হাফিজকে। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুই দিনের রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। তবে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনে কোনো তথ্য বের করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। পুলিশ বলছে, হয়তো নির্দিষ্ট কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ডা. সারওয়ার আলীকে হত্যার চেষ্টা করেন নাজমুল। তার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তাকে গ্রেফতার করলেই সব রহস্য বের হবে। তাকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ির চারদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, পলাতক নাজমুল নয় মাস আগে ডা. সারওয়ার আলীর পরিবারের গাড়িচালক ছিলেন। ওই সময় গাড়ি চালানোয় ভুল করায় ডা. সারওয়ার আলীর স্ত্রী সাবেক সচিব মাখদুমা নার্গিস তাকে ধমক দিয়েছিলেন। ওইদিনই নাজমুল হুমকি দিয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যান। পরে হাফিজকে গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ দেন ডা. সারওয়ার। তবে নাজমুল মাঝেমধ্যেই ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবুল হাসানের সঙ্গে এসে গল্প করতেন। ঘটনার আগে নাজমুল ও একজন অজ্ঞাত লোক নিচতলায় আবুল হাসানের সঙ্গে টিভি দেখেন। নিচতলায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে স্কুলব্যাগের ভিতর থেকে সাতটি নতুন চাপাতি, লম্বা দড়ি, ক্যামেরাস্ট্যান্ড ও স্কচটেপ উদ্ধার করেছে। উত্তরা (পশ্চিম) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, গাড়িচালক গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত রহস্য জানা যাচ্ছে না। তবে তাকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।