শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য পরামর্শ

কচি নিমপাতার যত গুণাগুণ

প্রতিদিন ডেস্ক

স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য প্রয়োজন কচি নিমপাতা। এই পাতায় হজমক্ষমতা দারুণভাবে বৃদ্ধি পায়। শরীর মনকে তরতাজা রাখতে কচি নিমপাতার জুড়ি নেই।

এ জন্য কচি নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে রোদে অল্প শুকিয়ে সামান্য সরষে তেল দিয়ে হালকা আঁচে ভাজতে হবে। এক দিনে অনেকটা পাতা ভেজে রাখা যেতে পারে। এ পাতা ভাতের সঙ্গে মেখে খেতে হবে। তরকারির সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যাবে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারলে শরীরে বল বৃদ্ধি হবে, অবসাদ-ক্লান্তি ও দুর্বলতা থাকবে  না, খাদ্যে অরুচি আসবে না। এ ছাড়াও যকৃতের ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে, অ্যালার্জি-খোস-পাঁচড়া-চুলকানি-রক্তদুষ্টিজনিত রোগ দূর হবে। কচি নিমপাতা শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলবে।

কচি নিমপাতার আরও উপকারিতা আছে। যেমনÑ এটি স্বাস্থ্যপ্রদ এবং অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণসম্পন্ন। নানাবিধ যৌগ এর থেকে পাওয়া যায়। যার ফলে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তকণিকার বৃদ্ধি ঘটায়। মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ, ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের সংক্রমণ, ক্যান্সার, হার্টের অসুখ, যক্ষ্মা, পেপটিক ও ডিওডিনাল আলসার, আমবাত ও সন্ধিগত বাত, জন্ডিস, অম্ল-অজীর্ণ, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে কাজ করে। এটি কৃমিনাশকও। এই সঙ্গে চোখের দৃষ্টিশক্তিও স্বাভাবিক রাখে, রাতকানা রোগ হয় না। বসন্ত রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কচি নিমপাতা ও গোলমরিচ সকালে খালি পেটে চিবিয়েও খাওয়া যায়। এ ছাড়া কচি নিমপাতা ভাজা ২-৩ গ্রাম, এর সঙ্গে সামান্য মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে পারলে একই কাজ হবে।

ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এইডস প্রভৃতি রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নিমপাতার ব্যবহারিক দিক নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণাও চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর