রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হাতিরঝিলে বর্ণিল আনন্দ উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাতিরঝিলে বর্ণিল আনন্দ উৎসব

রাজধানীর হাতিরঝিলে আতশবাজি ও বর্ণিল আনন্দ উৎসব করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় হাতিরঝিলের এমফি থিয়েটারে। অনুষ্ঠান থেকে একযোগে বাংলাদেশের সব উপজেলায় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে উৎসব পালন ও বর্ণিল আতশবাজি করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও বর্তমান সরকারের  উন্নয়নচিত্র তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। এ উৎসবের আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। সন্ধ্যায় শুরু হয় জমকালো অনুষ্ঠানের। উদ্বোধনীতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের উপস্থিতিতে প্রদর্শিত হয় বর্ণিল আলোকসজ্জা, আতশবাজি।

আতশবাজির উজ্জ্বল আলোয় পুরো হাতিরঝিল এলাকা আলোকিত হয়ে ওঠে। চমৎকার দৃষ্টিনন্দন এ আতশবাজি উপভোগ করেন শত শত দর্শক। ঝিলের পানিতে এর প্রতিচ্ছবি পড়ে তৈরি হয় এক চমৎকার পরিবেশ। আতশবাজি শেষে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। তুলে ধরা হয় দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির নানা চিত্র। পরে নৃত্য পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পীরা। গান পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে হারিয়ে শীর্ষে অবস্থান করবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ টপ-২০ এর মধ্যে চলে আসবে। আপনারা এই হিসাব আমাদের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন। ২০৩১ সালে বাংলাদেশ তাইওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০৪১ সালে সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। বর্তমানে ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০ নম্বরে অবস্থান করছে। ২০২৭ সালে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনীতির দেশ হবে। বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের একটাই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই দেশ উন্নত হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, আমাদের নিজস্ব পরিচয় দিয়েছেন। দেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার হাত ধরেই সংবিধান  পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কবির মতো দেশের সব উন্নয়ন সাজিয়েছেন। তিনি আমাদের মুক্তির কবি ছিলেন।  অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন বলেই জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। সেই ক্ষণজন্মার জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখেই ইআরডির পক্ষ থেকে আমাদের এই আয়োজন। তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপনের জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অনন্য সত্তা। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে কল্পনা করাও অসম্ভব। আমাদের আজকের যে উন্নয়ন, তা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছেন।

সর্বশেষ খবর