রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য পরামর্শ

যে রঙের কুসুম বেশি পুষ্টিকর

প্রতিদিন ডেস্ক

সব ঋতুতেই ডিমের ওপর ভরসা রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। তাছাড়া সবার পছন্দের তালিকায়ও থাকে ডিম। তবে সাদা ডিম, নাকি লাল রঙের ডিমÑ কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর গবেষকদের মতে, একটি মোটামুটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট আছে (যার মধ্যে দ্রবণীয় মাত্র ১.৫ গ্রাম)। সাদা ও লাল ডিমে এ পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় একই। সুতরাং লাল হোক বা সাদা হোক দু-ধরনের   ডিমেরই খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ যে প্রায় সমান সে কথা মেনে নিচ্ছেন বিশ্বের বেশির ভাগ পুষ্টিবিদই। কিন্তু এখানে জানা গেল ডিমের খোসার রং অনুযায়ী তার খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। কিন্তু ডিমের কুসুমের রং দুই রকমের হয়, হলুদ আর কমলা। কোন রঙের কুসুমের ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর তা জানাটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, কুসুমের রং যত গাড়, ওই ডিম তত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এ ধারণা কতটা সঠিক? ইউএসডিএর গবেষকদের মতে, কুসুমের রং নির্ভর করে মূলত মুরগির খাবারের ওপর। আর ডিমের কুসুমের রং কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের প্রভাবে। মুরগি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে, তার ডিম ততই গাড় রঙের হবে। বেশ কিছু খামারে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয় মুরগিকে। যার প্রভাবে ওই সব মুরগির ডিমের কুসুমের রং কমলা হয়। মার্কিন গবেষকদরা জানাচ্ছেন, খামারের যে কোনো মুরগির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খাওয়া মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর রংও গাঢ় হয়। তাই কুসুমের রং যাতে গাঢ় হলুদ বা কমলা হয়, তার জন্য অনেক খামারের মালিক মুরগিকে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ান। কিন্তু তাতে কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব একটা পার্থক্য হয় না।

সর্বশেষ খবর