শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র্যাগিংয়ের’ নামে জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের হাতে নবীনদের নির্যাতন ঠেকাতে কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। ইশরাত পরে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত তিন মাসের মধ্যে র্যাগিংবিরোধী কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। কমিটি র্যাগিংয়ের অভিযোগ নেবে, র্যাগিং বন্ধে সুপারিশ করবে। আর স্কোয়াড র্যাগিং প্রতিরোধে বন্ধে ব্যবস্থা নেবে বা প্রতিকার দেবে। র্যাগিংয়ের অভিযোগে সম্প্র্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের উদাহরণ তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাই সাধারণত সিনিয়রদের দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং কালচারে পরিণত হয়েছে। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীই মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (ট্রমাটাইজড) হচ্ছে। গত বছরের ৯ অক্টোবর র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস দেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য র্যাগিং বিরোধী কমিটি ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্কোয়াড গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় নোটিসে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ৮ জানুয়ারি র্যাগিংবিরোধী কমিটি ও স্কোয়াড গঠনে নির্দেশনা চেয়ে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।