আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রাম সিটি ও একাদশ সংসদের শূন্য তিনটি আসনের ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার চিন্তা করছে কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, মুজিববর্ষ শুরু ১৭ মার্চ এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং এপ্রিলজুড়ে এইচএসসি পরীক্ষা। এ ছাড়া ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে চট্টগ্রাম সিটিতে। এ ছাড়া তিনটি আসনের উপনির্বাচনও মার্চের মধ্যে করতে হবে। তাই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করে মার্চের শেষ সপ্তাহে ভোট করা সম্ভব।
জানা গেছে, ইসি সচিবালয় চট্টগ্রাম সিটি ও তিন আসনের উপনির্বাচনের জন্য দুটি প্রস্তাব দিচ্ছে কমিশনের সভায়। প্রথমত- মুজিববর্ষ শুরুর আগে ১২ মার্চ। দ্বিতীয়ত- ২৯ বা ৩০ মার্চ ভোটের সম্ভব্য তারিখ প্রস্তাব করবে ইসি সচিবালয়। এক্ষেত্রে ইসির অধিকাংশ কর্মকর্তা মনে করছেন ২৯ বা ৩০ মার্চ ভোটের উপযুক্ত সময়। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি এবং সংসদের তিনটি শূন্য আসনের ভোট আয়োজন নিয়ে আগামী সপ্তাহে বসবে নির্বাচন কমিশন। মার্চ মাসে ভোট করার লক্ষ্যে ২১ জানুয়ারির এ সভায় সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ওই দিন বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে ইসির ৫৮তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ইসির উপসচিব মো. শাহেদুন্নবী স্বাক্ষরিত সভার নোটিসে বলা হয়েছে, কমিশনের পরবর্তী সভায় আরপিওর খসড়া চূড়ান্ত; গাইবান্ধা-৩, ঢাকা-১০ ও বাগেরহাট-৪ আসনের শূন্য আসনের উপনির্বাচন; চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া-চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ এবং বিবিধ বিষয় আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন মার্চে হতে পারে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, আমার ধারণা মার্চ মাস হবে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে রমজান আছে। মার্চ মাসে সম্ভবত পরীক্ষা বা অন্য কিছু নেই। সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্চের মধ্যেই তিনটি উপনির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে মার্চের মধ্যে ভোট করতে হবে কমিশনকে। গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস আলী সরকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ২৭ ডিসেম্বর।ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ২৯ ডিসেম্বর শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ১০ জানুয়ারি মারা যান বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মোজাম্মেল হোসেন।
