শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অতিথি পাখির গ্রাম মল্লিকপুর

আলপনা বেগম, নেত্রকোনা

অতিথি পাখির গ্রাম মল্লিকপুর

নেত্রকোনার অন্যতম হাওর ডিঙ্গাপোতা। প্রতি বছর এই হাওরে লাখো পাাখির সমাগম ঘটে। শীত এলেই হাওর অঞ্চলে বেড়াতে আসে নানা জাতের অতিথি পাখি। দিনভর ওড়াউড়ি করে হাওরের মাঝখানে অবস্থিত মল্লিকপুর গ্রামের গাছগুলোতে রাতে তারা আশ্রয় নেয়। এক শ্রেণির লোভী মানুষ নির্বিচারে এসব পাখি শিকার করছে। ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে অতিথি পাখি আসা।

জেলার হাওর অঞ্চলের উপজেলা মোহনগঞ্জ। এই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ডিঙ্গাপোতা হাওর। জেলার ১০ উপজেলার ছোটবড় প্রায় ৮১টি হাওরের মধ্যে ৮ হাজার ৩১০ হেক্টর আয়তনের হাওর ডিঙ্গাপোতা। এই হাওরের ভিতরেই রয়েছে মোট ৯৫টি বিল। প্রতি বছর শীতে এই হাওরে অবাধে বিচরণ করে অতিথি পাখি। এখানকার কৃষকদের সঙ্গে যেন তাদের নিবিড় সম্পর্ক। হাওরের বিলগুলোতে খাবার খুঁজে পায় তারা। শীত এলেই অনেক পরিযায়ী পাখি সুদূর সাইবেরিয়া থেকে চলে আসে। আবার শীত চলে গেলে তারাও পাড়ি জমায় নিজ দেশে। দিনভর হাওরে ওড়াউড়ি শেষে তারা আশ্রয় নেয় হাওরের মধ্যবর্তী গ্রাম মল্লিকপুরে। কিন্তু দিনের পর দিন এসব পাখিকে নির্বাচারে গুলি করে, গুলাই দিয়ে এবং ফাঁদ পেতে মেরে ফেলছেন এক শ্রেণির মানুষ। গ্রামের কিছু অসৎ মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ গিয়ে রাতে এসব পাখি মেরে নিয়ে যায়। ফলে বছর দুয়েক ধরে পাখি আসা কমে গেছে গ্রামটিতে। হাওরে ধান খেয়ে গ্রামের ওপর দিয়ে ওড়ে অন্যত্র চলে যায় তারা। রাত হলেই চলে নির্বিচারে পাখি নিধন। এমন অভিযোগ করছিলেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী বারসিকের সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান বলছেন, সরকার পাখি নিধনে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের পাখি হত্যা বন্ধ হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।

এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করে। ফলে এই পাখিগুলো রক্ষায় প্রয়োজনে অন্দোলন করবে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার পল্টু বিশ্বাস বলেন, আর পাখি নিধন হবে না। কেউ পাখি মারতে এলে পুলিশকে জানানো হবে। জেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. দীন ইসলাম জানান, তারা পাখি রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন কলেজে মোটিভেশন কার্যক্রম চালিয়েছেন। নিয়মিত হাওর প্রদক্ষিণও করছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর