শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্যাসিনো ব্রাদার্স রিমান্ডে

অবৈধ সম্পদ অর্জন

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক এনুকে পাঁচ মামলায় ১১ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার দিন ও ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় দুই দিন করে মোট চার দিন ও মানি লন্ডারিং পৃথক দুই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় দুই দিন করে মোট চার দিন ও মানি লন্ডারিং পৃথক দুই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার। এর আগে কারাবন্দী আসামি এনু ও তার ভাই রূপনকে রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। তার আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে এনু জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নিজ নামে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। রাজধানীর গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা হারুনুর রশীদ ও ওয়ারীর বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ পরস্পর যোগসাজশে যথাক্রমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ও ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনুকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। ওই সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। এনু ও রূপন দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৫ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে এবং কোটি কোটি টাকা তারা মানি লন্ডারিং করেছেন।

এনুর ও রূপনের অবৈধ সম্পদের বর্তমান অবস্থা, কাকে কী উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে আরও কারও সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ একান্ত জরুরি। জানা গেছে, ১৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এনু ও রূপন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তার ভাই রূপন ছিলেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর