শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গতি ফিরেছে শেয়ারবাজারে। দেড় মাসের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। (৫১৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার)। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১০ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে।  লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার। গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে শেয়ারবাজারে। এরপর টানা তিন কার্যদিবস ডিএসই ও সিএসইতে সূচকের বড় উত্থান হয়। মঙ্গলবার দুই বাজারেই সূচকের কিছুটা পতন ঘটে। যাকে মূল্য সংশোধন হিসেবে অভিহিত করেন বিশেষজ্ঞরা। তার একদিন পরই গতকাল আবারো গতি পায় উভয় শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারের এই ঊর্ধ্বগতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাঝে। তারা নতুন করে বাজারমুখী হতে শুরু করেছেন। বাজারের এমন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ধরে রাখতে পারলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো সম্ভব বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এদিকে আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের অস্বচ্ছতা শেয়ারবাজারকে ভোগাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের সহযোগিতায় গতকাল ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আজকে বাজার যে পরিস্থিতিতে আছে, তাতে সহায়ক শক্তিগুলো খুবই প্রয়োজন। ভালো মানের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) বলে কিছু নেই।

ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই ভালো মানের আইপিও দিতে পারে। তিনি বলেন, আইপিও আসার পরে এগুলো (আর্থিক প্রতিবেদনের অসঙ্গতি) নিয়ে কথা বলা হয়। তাই আইপিও আসার আগেই সাংবাদিকদের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং স্টক এক্সচেঞ্জ উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা ওই আইপিও সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।

সর্বশেষ খবর