সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পুলিশ-পাথর শ্রমিক সংঘর্ষ নিহত ১, আহত শতাধিক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে গতকাল পুলিশের সঙ্গে পাথর শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে এক শ্রমিক নিহত ও পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। নিহতের নাম জুমার উদ্দিন। তিনি গনাগজ গ্রামের মোহাম্মদ দেবারুর ছেলে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কিছুদিন আগে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। গতকাল সকালে কয়েক হাজার পাথর শ্রমিক রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শ্রমিকরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। অনেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালান। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য এবং বহু শ্রমিক আহত হন। আহতদের পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শ্রমিক মারা যান। পাঁচ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানবাধিকারকর্মী এ কে এম আনায়ারুল খায়ের জানান, ড্রেজার মেশিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরাই শ্রমিকদের আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছেন। এখনো জানেন না তারা পরিবেশের কী পরিমাণ ক্ষতি করছেন। তিনি বলেন, ‘পাথর উত্তোলন বাদ দিয়ে শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা দরকার সরকারের।’ পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী জানান, হঠাৎ শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেন। তাদের কেউ দাবি নিয়ে আসেননি। আলোচনার পথ খোলা ছিল এবং আছে। সরকার থেকে লিজ দেওয়া জায়গাগুলোতে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়নি। তারপরও শ্রমিক নেতা বা ব্যবসায়ীরা আমাদের কিছু না জানিয়ে বিশৃঙ্খলভাবে সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন। গাড়ি ভাঙচুর করেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ খবর