মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি রাজশাহী

আওয়ামী লীগে অনৈক্য, ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর। এর মধ্য দিয়ে এসেছে নতুন নেতৃত্ব। কিন্তু তাদের যাত্রার শুরুতেই বেজে উঠেছে অনৈক্যের সুর। রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছিল। সম্মেলনের দুই দিনের মধ্যেই নতুন জায়গায় চলে গেছে কার্যালয়। আওয়ামী লীগ যখন নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিভক্ত, তখন ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা ছুটছেন তৃণমূলে। ইতিমধ্যে সব উপজেলায় নতুন নেতৃত্ব এসেছে। শিগগিরই জেলার সম্মেলন হবে। গত ৮ ডিসেম্বরের সম্মেলনে সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বাদ পড়েছেন। তবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফারুকের অনুসারীরা। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির বেশিরভাগ নেতাই আসাদের অনুসারী। ফলে এই নতুন কমিটি নেওয়ার পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগে বিভেদ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রথম বোঝা যায়, সম্মেলনের পরদিন ৯ ডিসেম্বর। সেদিন নতুন কমিটির নেতারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ে যাননি সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। আর কর্মসূচিতে সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী অংশ নিলেও আসাদসহ সদ্য সাবেক কমিটির বেশিরভাগ নেতাই উপস্থিত ছিলেন না।

নতুন কমিটির সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা জানান, এসব অভিমান সাময়িক। শিগগিরই সবাই মিলে আওয়ামী লীগকে আরও গতিশীল করা হবে। দলীয় কার্যালয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, লক্ষ্মীপুর মোড় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে প্রাণকেন্দ্র। এখানেই দলীয় কার্যালয়। এখন নতুন সভাপতি-সম্পাদক যদি এর চেয়েও বড় এবং ভালো দলীয় কার্যালয় করেন, তাহলে তাদের অভিনন্দন। কিন্তু লক্ষ্মীপুর মোড় প্রাণকেন্দ্রই থাকবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দুর্গ হারিয়েছে বিএনপি। রাজশাহীর সব আসনেই এখন আধিপত্য আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট সঙ্গীদের। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসন পায় বিএনপি। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ৬টি আসনেই বিজয়ী ছিলেন বিএনপির প্রার্থীরা। অতীত রেকর্ড বলছে, ১৯৯১ থেকে ২০০১ জেলার প্রতিটি আসনে শক্ত অবস্থানে ছিল বিএনপি। কিন্তু নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বে দুর্গে ফেরা হয়নি বিএনপির। তবে আবারও দুর্গ উদ্ধারে তৃণমূল থেকে কাজ শুরু করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, বিএনপির যেসব ভুল-ত্রুটি আছে, সেগুলো শুধরে তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে বিএনপি সংগঠিত হচ্ছে। আগামীকে হারানো দুর্গ ফিরে পাওয়াই বিএনপির লক্ষ্য। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দাবি করেন, বিএনপি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।

সর্বশেষ খবর