মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অপহরণের অভিযোগে চার পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলাটি (সিআর-১০৯/২০২০) আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী আমলে নিয়েছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা-দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলহাজত থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এ সময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্নাঘরে আশ্রয় নেন। পরে তারা নুর আলমকে সেখান থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধ খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারেন। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা-দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দেওয়া হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টরিতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মাদক মামলা করায় সে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ খবর