শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি বগুড়া

আওয়ামী লীগে নতুন হাওয়া সংগঠিত হতে চায় বিএনপি

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

নতুন নেতৃত্ব পাওয়ায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের পালে হাওয়া বইছে। আর বিএনপি মামলায় জড়িয়ে আছে। নতুন স্বপ্ন দেখছে দলের চাঙ্গাভাব ফেরাতে। দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সংগঠিত হতে চাইছে তারা। ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে মজিবর রহমান মজনু জেলা সভাপতি আর রাগেবুল আহসান রিপু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। কমিটিতে স্থান পেতে দলীয় নেতা-কর্মীরা ভিড় করছেন। ফলে দলীয় কার্যালয় থাকছে জমজমাট। ২০১৮ সালে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ২৪ বছরের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন মারা যান। তার মৃত্যুর পর নেতৃত্ব নিয়ে যে সংকটে পড়ার কথা ছিল তা হয়নি। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু জানান, আওয়ামী লীগ বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় বগুড়ায় শক্তিশালী।

গত কয়েক বছরে সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে যাচ্ছে। যারা দলের জন্য সুনাম বয়ে আনবে, নিবেদিত প্রাণ হবে, ইমেজ অক্ষুণœ থাকবে, সর্বোপরি নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি রয়েছে তাদের নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। নবীন প্রবীণ সমন্বয় করে দল গঠন করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি যত দ্রুত সম্ভব করা হবে। জাতীয় নির্বাচনে না আসা, ভাঙচুর নাশকতা কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হামলায় একরকম নুয়ে পড়েছিল জেলা বিএনপি। পালিয়ে থাকা বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী জামিন পেয়ে সামনে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই আবারও মিছিল মিটিং এবং দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে উঠছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে বগুড়াকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে ধরা হয়। ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের চেয়ে এখনো বিএনপি অনেক বেশি এগিয়ে। আবার সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করে মামলা হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। সর্বশেষ ১ জানুয়ারি বগুড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতাপায়ে ওঠা নিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যের সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ পুলিশ আহত হলে মামলা দায়ের করা হয় ৬০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।

২০১৯ সালের মে মাসে জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর ২৪ জুন ২০১৯ বগুড়া-৬ সদর আসনে উপনির্বাচনে তিনি জয় পান। এখন তিনি জেলা বিএনপিকে নতুন করে সাজাতে বসেছেন। ২৪টি সাংগঠনিক ইউনিট ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে স্থান পেতে উঠতি তরুণরা দৌড় ঝাঁপও শুরু করেছেন। অনেকেই বিভিন্নভাবে তদবির করছেন। জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, আন্দোলনের জন্য দলকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে বগুড়া জেলা বিএনপিতে পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া সদর-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ জানান, দল পুনর্গঠন শুরু হওয়ায় গত ১০ বছরে যারা দলে উপেক্ষিত ছিলেন তারা নিষ্ক্রিয় থেকে সক্রিয় হয়েছেন। রাজপথের কঠোর আন্দোলনের জন্য শক্তিশালী সংগঠনের বিকল্প নেই। সাংগঠনিক কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষে জেলা কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন হবে। পুনর্গঠনের পর বগুড়া থেকেই আন্দোলন শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর