শিরোনাম
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

চার মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন অঙ্গীকারের চুম্বক অংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চার মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন অঙ্গীকারের চুম্বক অংশ

ঢাকা সিটি ভোটে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার মেয়র প্রার্থী এরই মধ্যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। সবাই ঢাকার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়েছেন। ঢাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি যানজট, ধুলোবালি, জলাবদ্ধতা, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ রোধে নিজেদের অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেছেন প্রার্থীরা। ২৬ জানুয়ারি ইশতেহার ঘোষণা করেন ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা- এই তিন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ৩৮ প্রতিশ্রুতি-সংবলিত ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। তার ইশতেহারে সুস্থ ঢাকা গড়তে রাজধানীর মিরপুরে বৃক্ষ ও পোষা প্রাণী ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, করপোরেশনের প্রতিটি অফিসে মাতৃদুগ্ধকক্ষ স্থাপন এবং বায়ুদূষণ কমানোর বিষয়টি নতুনভাবে এসেছে। গণপরিবহনে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা প্রবর্তন, ইলেকট্রিক বাস নামানো এবং সিটি করপোরেশনের সব সেবা কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেমে নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলোও নতুন। আধুনিক ঢাকা গড়তে ‘সবার ঢাকা’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করে নাগরিকদের অভিযোগ জানা, সেবাক্ষেত্রে অটোমেশন প্রবর্তন, স্মার্ট নেইবারহুড হিসেবে কয়েকটি এলাকা গড়ে  তোলা এবং জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠান আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেন আতিক। ২৭ জানুয়ারি ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তাবিথ আউয়াল। নির্বাচনে বিজয়ী হলে নগর সরকার গঠন করার কথা জানিয়েছেন বিএনপির এই প্রার্থী। ইশতেহারে দূষণমুক্ত, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য, পাবলিক টয়লেট, মশক নিয়ন্ত্রণ, গণপরিবহন ব্যবস্থা আধুনিক করা, নারীবান্ধব শহর গড়া, নারীদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস চালু, আধুনিক ডে-কেয়ার, পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুদের বিনা খরচে চিকিৎসা দেওয়া, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ, বিনোদনের ব্যবস্থা করা, বাসা ভাড়া নির্ধারণসহ নানা প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার ইশতেহারে। ঢাকাকে ইন্টেলিজেন্ট শহর বানানোর পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার ১৩ দফায় ১৪৪টি প্রতিশ্রুতি-সংবলিত ইশতেহার ঘোষণা করেছেন দক্ষিণে বিএনপির ইশরাক হোসেন। তিনি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, বিশ্বমানের বাসযোগ্য অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নারীদের পৃথক ও নিরাপদ বাস সার্ভিস চালু, যানজট নিরসনে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণ, দ্রুতগামী ইলেকট্রিক্যাল বাস সার্ভিস ও স্মার্ট বাসস্টেশন নির্মাণ,  যোগাযোগব্যবস্থায় ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ, কমিউনিটি হাসপাতালগুলোতে নারীদের মাতৃত্বকালীন এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত সব শিশুর বিনা খরচে চিকিৎসা নিশ্চিতসহ নানা প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার ইশতেহারে। বুধবার সর্বশেষ ইশতেহার ঘোষণা করেন ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তাপসের ইশতেহারে রয়েছে পাঁচ রূপরেখা। তিনি ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার ইশতেহারকে অনেকটাই ‘স্মার্ট ইশতেহার’ বলে মত দিয়েছেন অনেকে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, এলাকাভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম দুর্নীতিমুক্ত সংস্থা করা, বছরের ৩৬৫ দিন সব সময় নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য অফিস খোলা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া গৃহকর না বাড়ানো, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রয়োজনে নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস গঠন ও ফায়ার হাইড্র্যান্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং পাড়া-মহল্লায় অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি প্রবেশের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর আলোকে উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তাপস।

সর্বশেষ খবর