শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
বিডিএফ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশে বিনিয়োগে লস নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বিনিয়োগ করলে কোনো লস নেই। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) দুই দিনের সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। সমাপনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। অধিবেশন পরিচালনা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। বিনিয়োগের জন্য এগুলোয় নানারকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বিনিয়োগ করে কেউ লস করবে না। এ সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। আমাদের রাজস্ব কম। কিন্তু যতটা কম বলা হয় ততটা কমও নয়। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে বাংলাদেশের মতো শিল্পে এত করছাড় দেওয়া হয়। আগামীতে আমরা যেসব খাতে প্রণোদনা বা ছাড় দিচ্ছি সেগুলোর একটা হিসাব করা হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে কিছুটা চাপ তৈরি হলেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। সব সময় গরিব থাকলে চলবে না। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। গত ১০ বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমরা এগিয়ে রয়েছি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশকে ছাড়িয়ে যাবে।’

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা জরুরি। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিলেও একটি সিঙ্গেল পেনিও চোখে পড়েনি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে হলে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সম্পদ ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার। প্রচুর সম্পদের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে আমরা কাজ করছি। এগুলো কাজে লাগবে।’ ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘের পরামর্শ অনুযায়ী এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা এমডিজির মতোই সাফল্য নিয়ে আসব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এসব কাজ চলছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আমাদের বড় ইনোভেশন। একে কাজে লাগাতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানিনির্ভর প্রবৃদ্ধর দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ মিয়া সেপ্পো বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে যা যা করণীয় তার সবই করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। দুই দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ছিল চারটি অধিবেশন। এসব অধিবেশনে জ্বালানি নিরাপত্তা, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্মত শিক্ষা ও টেকসই শহরায়ণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর