রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দুই বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দুই চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণের শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মো. ইলিয়াস মিয়া আগামী ১১ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে এ মামলায় দুই বাসচালকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. ইদ্রিস আলী গত বছর ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দন্ডবিধির ২৭৯ ও ৩০৪ (খ) ধারায় এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের চালক মো. খোরশেদ। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন ফকির সাংবাদিকদের জানান, এ মামলা রাজীব হোসেন রাজু নিজেই বাদী হয়ে করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজীব চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল মারা যান। ফলে এ মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন বিচারক। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তিতুমীর কলেজের ¯œাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পিছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের চাপে রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথায়ও প্রচ- আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজীব শাহবাগ থানায় দন্ডবিধির ২৭৯ ও ৩৩৮(ক) ধারায় মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের সময় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩৩৮ ধারা বাদ দিয়ে দন্ডবিধির ৩০৪(খ) ধারা যুক্ত করা হয়।