বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
দুই সিটি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান

ঢাকায় বিক্ষোভ করল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও নতুন নির্বাচন দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিও চাওয়া হয়। কেন্দ্র্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি থানায় থানায় এ কর্মসূচি পালন করে। শাহবাগ থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে চানখাঁরপুল প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল হাজী মনির হোসেন মনিরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ঝাউচর বেড়িবাঁধ হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাজারীবাগে গিয়ে শেষ হয়। গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল আবদুল কাদিরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। গেন্ডারিয়ার ডিস্টিলারি রোড থেকে শুরু হয়ে বানিয়ানগর মোড় প্রদক্ষিণ করে দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। ডেমরা থানা বিএনপির উদ্যোগে একটি মিছিল জয়নাল আবেদিন রতন ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বামূল থেকে শুরু হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার প্রদক্ষিণ করে আমুলিয়া মডেল টাউনে গিয়ে শেষ হয়।

শনিবার ঢাকায় সমাবেশসহ বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি : বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আগামী শনিবার ঢাকায় সমাবেশসহ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। খালেদার কারাবাসের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওই দিন এ সমাবেশ ডেকেছে দলটি। গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

কর্মসূচির মধ্যে আছে- ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দেশব্যাপী বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং ৮ ফেব্রুয়ারি  বেলা ২টায় ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও সারা দেশে জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ।

খালেদা জিয়ার কারাবাসের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করবে বলে জানান মহাসচিব।

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার দুই বছর সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটক রেখেছে। তার ওপর কারা নির্যাতন চালানো হয়েছে। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। আমরা আশঙ্কা করছি সরকার অত্যন্ত হীন উদ্দেশ্যে তাকে অসুস্থতাবস্থায় কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই,  দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের যে কোনো অবনতির জন্য এই সরকারকে সব দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে এবং জনগণের সামনে তাদের এক দিন আদালতে দাঁড়াতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির  খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, কাজী আবুল বাশার, তুহিনুল ইসলাম তুহিন, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, শায়রুল কবির খান, জাকির  হোসেন রোকন, হাসান জাফির তুহিন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর