বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বইমেলা জমে উঠছে

মোস্তফা মতিহার

বইমেলা জমে উঠছে

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ জমে উঠছে। গতকাল চতুর্থ দিনেও পাঠকদের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন প্রকাশকরা। বিকাল ৩টায় প্রবেশদ্বার খোলার পর থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণজুড়ে ছিল সুনসান নীরবতা। দেখা গেছে, ছিমছাম পরিবেশের নীরবতায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। তবে এদের কারও হাতেই বই ছিল না। পাঠকের পরিবর্তে দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে উত্তাপহীন ছিল প্রাণের বইমেলা। আর সেই পরিবেশে নিজেদের সেলফিবন্দী করতেই ব্যস্ত ছিলেন আগত দর্শনার্থীরা। বাণিজ্য মেলা যে গ্রন্থমেলায় প্রভাবিত, সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন প্রকাশকরা।

তবে আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার পর কাল শুক্রবার থেকে মেলা তার চিরচেনারূপে ফিরে যাবে বলে মনে করছেন বেশিরভাগ প্রকাশক।  সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে কথা হয় নালন্দার প্রধান নির্বাহী জুয়েল রেদুয়ানুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলা শেষ না হলে বইমেলা জমে উঠবে না। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার পর শুক্রবার থেকে বইমেলা জমে উঠবে। আমরা এখন শুক্রবারের অপেক্ষাতেই আছি। মেলার পরিবেশ নিয়ে এই প্রকাশক বলেন, এবারের মেলা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক গোছানো। তবে যাদের বই নেই এ ধরনের অনেক অপ্রকাশককে মেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে করে মেলার সৌন্দর্যহানি ঘটছে। তার কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা প্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুস আলীও জানালেন, এখনো পাঠকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তার মতে, বেশিরভাগ প্রকাশকই শুক্রবারের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, গতকাল মেলার চতুর্থ দিনে মেলায় গতকাল নতুন বই এসেছে ৯৫টি।

নঈম নিজামের ‘রানি ভিক্টোরিয়া ও করিম কাহিনি’ : প্রকাশনা সংস্থা অন্বেষা প্রকাশন এবারের মেলায় এনেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও বরেণ্য লেখক নঈম নিজামের বই ‘রানি ভিক্টোরিয়া ও করিম কাহিনি’। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ও পাঠক কর্তৃক প্রশংসিত ৪৪টি নির্বাচিত কলাম দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। ‘রানি ভিক্টোরিয়া ও করিম কাহিনি’ ‘দিন শেষ রাজনীতির গডফাদারদের’ ‘সর্বনাশা ভেজাল রাজনীতি’ ‘ক্ষমতার রঙিন মসনদ’ ‘মুঘল-ই-আজম ও ক্রসফায়ার’ ‘রাজনীতিবিদরা কি মানুষের ভাষা বোঝেন’ ‘মুক্তিযুদ্ধ ভাঙিয়ে সন্ত্রাস কেন’ ‘মিডিয়াকে ধমকালে কার কী যায় আসে’ ‘যত দোষ সম্রাটের, বাকি সবাই ধুয়া তুলসী’ ‘বিএনপির কেন এই বিপর্যয়’ ‘সব দায়িত্ব কি রাজনীতিবিদদের’সহ ৪৪টি নির্বাচিত কলাম স্থান পেয়েছে গবেষণালব্ধ এই বইটিতে। বইটি এবারের মেলায় অন্যতম একটি সেরা বই হিসেবে পাঠকদের দ্বারা সমাদৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রকাশনা সংস্থা অন্বেষার স্বত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শাকীর এহসানুল্লাহ। ২৫৬ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। মূল মঞ্চ : বিকাল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘অজয় দাশগুপ্ত রচিত বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন কৌশল ও হরতল’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুভাষ সিংহ রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নূহ-উল-আলম লেনিন এবং আবু সাঈদ খান। বক্তব্য প্রদান করেন লেখক অজয় দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামেন্দু মজুমদার। সবশেষে কবিতা পাঠ করেন কবি আলতাফ হোসেন, কবি জাহিদ হায়দার, কবি ফারহান ইশরাক ও কবি রনজু রাইম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন এনামুল হক বাবু, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও নায়লা তারান্নুম চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সুজিত মোস্তফা, এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ, সম্পা দাস ও মো. মেজবাহ রানা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর