বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সোহরাওয়ার্দী থেকে শিশুপার্ক না সরানোয় হাই কোর্টের উষ্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জমি থেকে শিশুপার্ক না সরায় উষ্মা প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, সব জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে নিয়ে আসা উচিত। এখনকার প্রজন্ম তো জানে না, তাই নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি বাজিয়ে শোনানো উচিত। ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণার প্রশ্নে তিন বছর আগে জারি করা রুলের শুনানিতে গতকাল বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন অভিমত দেয়। হাই কোর্ট বলে, স্বাধীনতার পক্ষের সরকার এত বছর ধরে ক্ষমতায়, শিশুপার্কটি এখনো কী করে এখানে থাকে? শিশুপার্কটি করাই হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধ্বংস করার জন্য।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থান চিহ্নিত করে সেখানে মঞ্চ স্থাপন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গাটি চিহ্নিত করাসহ সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানাতে বলেছে হাই কোর্ট। আগামী মঙ্গলবার আবেদনকারীকেও একটি সম্পূরক আবেদন করতে বলা হয়েছে আদেশে। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল ইসলাম।

 তিনি বলেন, শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেছে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ যেহেতু আমাদের সংবিধানের অমূল্য অংশ, তাই এর পবিত্রতা, মর্যাদা অক্ষুণœ রেখে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই ভাষণটা শোনানো উচিত এবং ভাষণটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তিনি বলেন, আদালত বলেছে, ৭ মার্চের ভাষণটিই আমাদের স্বাধীনতার প্রারম্ভিক ঘোষণা। এই ভাষণের মাধ্যমেই তিনি জাতিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের স্বাধীনতার প্রয়োজন। স্বাধীনতার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদের দায়ের করা এক রিট আবেদনে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। একাত্তরে যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণের দিন ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সর্বশেষ খবর