শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি সাতক্ষীরা

ব্যস্ত আওয়ামী লীগ গতিহীন বিএনপি

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলার প্রধান বড় দুই দলের রাজনীতি এখন দ্বিমুখী ধারায় প্রবহমান। গত ১২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক দেবহাটা-কালিগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি মুনসুর আহম্মেদ। আর টানা তিনবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বর্তমানে চলছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তোড়জোড়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বড় আকারে মুজিববর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের। অন্যদিকে সাংগঠনিক গতি নেই বিএনপির। জেলা বিএনপি চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। দলের ভিতরে রয়েছে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পদ-পদবি নিয়ে অন্তর্কলহ। গেল বছরের ১১ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি রহমত উল্লাহ পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসানের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সৈয়দ ইফতেখার আলীকে আহ্বায়ক ও লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলিমকে সদস্য সচিব করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত পত্রে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এ কমিটির মেয়াদ প্রায় দুই মাস হলেও ঘোষণা করতে পারেনি উপজেলা ও পৌর শাখাগুলোর আহ্বায়ক কমিটি। দলটির নেতাদের অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের বাইরে তাদের কর্মসূচি পালনে কিছুটা বাধা রয়েছে। ফলে ঘরোয়া পরিবেশে তাদের দলীয় কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। মুনসুর আহমেদ ও মো. নজরুল ইসলামকে দলের সিনিয়র নেতা-কর্মী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলীয় এমপিদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তারা এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কাজ করছেন। গঠনতন্ত্র অনুসারে জেলা আওয়ামী লীগে আগে ৭১ সদস্যের কমিটি ছিল। নতুন যে কমিটি আসবে তাতে সদস্য সংখ্যা ৭৫ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এবারের কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে শুধু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনই নয়, জমকালো আয়োজনে মুজিববর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকেও তুলে ধরতে চান দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপিরা।

সর্বশেষ খবর