শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পিয়াজের দাম কমেনি, উত্তাপ সবজিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিয়াজের দাম কমেনি, উত্তাপ সবজিতে

রাজধানীর বাজারগুলোতে পিয়াজের ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। তবুও কমেনি দাম। এখনো প্রতি কেজি দেশি পিয়াজের দাম ১৪০ টাকা। আর বার্মার পিয়াজ ১৩০ ও পাকিস্তানি পিয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগেও বাজারে পিয়াজের এমন দাম ছিল। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পটোল, চিচিঙ্গা, বরবটি ও কাঁচা মরিচের দাম। দাম বেড়েছে শাকেরও।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গতকাল কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হয়। কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, গত বছরের এই সময়ে ৫ কেজি পিয়াজ বিক্রি করেছি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এখন এক কেজি পিয়াজ ১৩০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে পিয়াজের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এদিকে বাজারগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। একই সঙ্গে টমেটো ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া আকার ভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি-ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও  লাউ ৪০ থেকে ৭০ টাকায়। দাম বেড়েছে শাকেরও। প্রতি আঁটি  কচুশাক সাত থেকে ১০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা, মুলাশাক ১২ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা ও লাউশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে কাঁঠালবাগান বাজারে আসা গ্রিন রোডের বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, এখন শীতের সব সবজিতে ভরপুর দেশ।

 তারপরও সবজির দাম বাড়তি। বাজারে কারও কোনো নজরদারিও নেই। ফলে বাড়তি দামে কিনতে আমরা বাধ্য। সবজির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আনিস মিয়া বলেন, বাজারে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা আর নেই। এ দাম নিয়ে আমরাও বিরক্ত। কিন্তু কিছু করার নেই। কারণ বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা, সরবরাহ তার থেকে কম। তাই দাম বাড়তি। এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো একই রকম রয়েছে চালসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বিআর-২৮ ৩৮ টাকা, স্বর্ণা ৩৩ টাকা, পুরনো চিনিগুঁড়া ১১৫ টাকা এবং নতুন চিনিগুঁড়া চাল ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর তেল, চিনি, আটা, ময়দা ও ডিমের দাম একই আছে। মাংসের বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো মাংসের দাম একই রকম রয়েছে।

 প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, কক মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও পাতি হাঁস প্রতি পিস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা, বড় সাইজের রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাইজ ভেদে চিংড়ি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ও রূপচাঁদা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ইলিশের দাম তুলনামূলক কম।

আগের নিম্নমুখী দর রয়েছে বাজারগুলোতে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা ও ৭৫০ গ্রাম ওজনের ৬০০ টাকা।

সর্বশেষ খবর