টানা দুই দিনের পাখি জরিপে এ বছর মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি পরিযায়ী জলচর পাখি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের উদ্যোগে দুই দিনে (২৮-২৯ জানুয়ারি) হাকালুকি হাওরের ৪০টি বিলে জলচর পাখিশুমারি করা হয়েছে। এ বছর শুমারিতে অংশগ্রহণ করেন ড. পল থমসন ও ইনাম আল হকের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টিম। জরিপের সময় সর্বমোট ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের দেওয়া তথ্য জানা যায়, এ বছর পাখির সংখ্যা ২০১৯-এর চেয়ে সামান্য বেশি। ২০১৯ সালে হাকালুকিতে ৩৭ হাজার ৯৩১টি পাখির দেখা মিলেছিল। তবে আশার কথা হচ্ছে, এ বছর হুমকির মুখে আছে এমন ছয় প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মহাবিপন্ন বেয়ারের ভুতিহাঁসও রয়েছে। সংকটাপন্ন পাতি ভুতিহাঁস ও প্রায়-সংকটাপন্ন মরচেরং ভুতিহাঁস, ফুলুরি হাঁস ও কালামাথা কাস্তেচরা, উত্তুরে টিটি, উদয়ী গয়ার মতো পরিয়ায়ী পাখি অন্যতম। হাকালুকির ৪০টি বিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৪৩০টি পাখি পাওয়া গেছে চোকিয়া বিলে। এরপর ৫ হাজার ১৪৭টি পাখি পাওয়া গেছে চ্যাতলা বিলে।
এর পরে ফুটবিলে ৪ হাজার ৯৮৩টি পাখি ও বালিয়াজুড়ি বিলে ৩ হাজার ৩০৫টি পাখি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু জানান, চলতি বছর দুই দিনব্যাপী হাকালুকি হাওরের ৪০টি বিলে পাখিশুমারি চলে। বিলগুলো হচ্ছে- হাওয়াবন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওর খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোনা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোনা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা ও গোয়ালজুড়।
