শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝালকাঠির পিপি হত্যায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদন্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝালকাঠি আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জেলা জামায়াতের সাবেক আমির হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি করে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। গত রবিবার এ রায়ের আদেশের অংশ ঘোষণা করলেও গতকাল পূর্ণাঙ্গ অংশ ঘোষণা শেষ করে আদালত।

ফাঁসির আদেশ বহাল থাকা পাঁচ আসামি হলেন- বরগুনার বেল্লাল হোসেন ও আবু শাহাদাৎ মো. তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান, খুলনার  মুরাদ হোসেন, ঢাকার ছগির হোসেন ও আমীর হোসেন। এর মধ্যে বেল্লাল হোসেন পলাতক রয়েছেন, বাকিরা কারাগারে। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম শাহজাহান ও মো. কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। পরে বশির আহমেদ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সাক্ষ্য-প্রমাণ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে হাই কোর্ট পাঁচ আসামিরই ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছে। আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করলে আপিল বিভাগে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা সাসপেন্ড থাকবে। আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হওয়ার পরই সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জেএমবি ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন হায়দার হোসাইন। তিনি ২০০৫ সালে জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় নিহত ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। দুই বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমানসহ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল আদালত। মামলা পরিচালনার সময়ই হায়দার হোসাইনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল জেএমবি। শায়খ আবদুর রহমানসহ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ। এর ২০ দিন পর হায়দার হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবির ক্যাডাররা। এ ঘটনায় হায়দার হোসাইনের ছেলে তারিক বিন হায়দার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ঝালকাঠি থানায় হত্যা মামলা করেন। তিন বছর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির উপরোক্ত পাঁচ ক্যাডারকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। পরে বিচার শেষে সাবেক এই পিপি হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির একটি আদালত পাঁচ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয়। পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাই কোর্টে আসে। এ ছাড়া আসামিদের পক্ষ থেকেও আপিল করা হয়। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি করে হাই কোর্ট রায় দেয়।

সর্বশেষ খবর