ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ফল যাচাই করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুবায়েদ আদেল (টিফিন ক্যারিয়ার) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪৫ ভোট। এর আগে এ ওয়ার্ডে জুবায়েদ আদেলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে অভিযোগ ওঠায় ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। গতকাল নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন। রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘আরমানিটোলা উচ্চবিদ্যালয়ের পুরুষ ভোট কেন্দ্রে (কেন্দ্র-৫২০) ঘুড়ি প্রতীক পেয়েছিল ২০২ ভোট। আর ঝুড়ি প্রতীক পেয়েছিল ৪৩৯ ভোট। ঝুড়ি আর ঘুড়ি প্রতীক দুটি শুনতে একই রকম হওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে মাঝখানে টিফিন ক্যারিয়ারের প্রার্থী জিতে গিয়েছিলেন। ঝুড়ি প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ দেওয়ার পর তা যাচাই করে দেখা গেছে, প্রার্থী ও প্রিসাইডিং অফিসারের ফলাফল ভিন্ন। পরে আমরা ফল স্থগিত করে বিধি ও আইন দেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার লিখতে ভুল করেছেন, তিনি লিখিতও দিয়েছেন সেটি। ইভিএমের রেজাল্টই সত্য। আর প্রিসাইডিং অফিসার যেহেতু স্বীকার করেছেন ভুল হয়েছে তাই আমরা ইভিএমের ফলাফলই গ্রহণ করেছি।’ আবদুল বাতেন বলেন, ‘এ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর (ঝুড়ি) ২ হাজার ৪৭২, জুবায়েদ আদেল (টিফিন ক্যারিয়ার) ২ হাজার ৪৪৫, এ এম কাইয়ুম (রেডিও) ৭২৩ ও ইরোজ আহমেদ (ঘুড়ি) ১ হাজার ৪৩৮ ভোট পেয়েছেন। যেহেতু শেখ মোহাম্মদ আলমগীর ঝুড়ি প্রতীকে ৯টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়েছেন তাই আমি ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করলাম।’ এ সময় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ইভিএম নতুন পদ্ধতি, যার কারণে কিছু কনফিউশন থাকতে পারে। তবে এটি আগের সব পদ্ধতির চেয়ে নির্ভরযোগ্য। একটি কেন্দ্রে যে কটি বুথ থাকবে তার সব ইনডিভিজুয়াল ফলাফল অপিট কার্ডে সংরক্ষিত থাকে। এ ছাড়া কতজন ভোটারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলেনি তাদের তথ্যসহ কার্ডে সংরক্ষিত থাকে। কেন্দ্রে কতজন ভোটার আছেন, আর কতজন ভোট দিয়েছেন, কোন প্রতীকে কত ভোট পড়েছে সব তথ্যই সংরক্ষিত থাকে এ কার্ডে।’ আগের ফলাফল ঘোষণায় বিজয়ী প্রার্থী জুবায়েদ আদেল (টিফিন ক্যারিয়ার) বলেন, ‘এ ফলাফল আমি মানি না। কারণ আমাকে আগে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এ-সংক্রান্ত কাগজও দেওয়া হয়েছে আমাকে। তার পরও এখন আবার নতুনভাবে যে ফল ঘোষিত হলো তা আমি মানি না। আমি আদালতে যাব। আমার তো সব কিছু নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।’ গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হয়।
