শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নীতিমালার আগে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ রাখার সুপারিশ

সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগে পরিচালিত সান্ধ্য কোর্সসহ অনিয়মিত কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই সংক্রান্ত আরও কিছু সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। কমিটির   সুপারিশ হচ্ছে, সান্ধ্য কোর্সের সম্মানীর হার নিয়মিত কোর্সগুলোর সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা উচিত। তা ছাড়া সান্ধ্য কোর্সগুলো চালাতে বিভাগগুলোর সামর্থ্য আছে কিনা তা বিবেচনা করতে বলেছে। এসব সুপারিশ করে ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অনিয়মিত কোর্সগুলোর যৌক্তিকতা যাচাই ও পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সান্ধ্য কোর্স রয়েছে। মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, ট্রেনিং কোর্সসহ অনিয়মিত এ জাতীয় কোর্সের সংখ্যা ৬৯টি। এরমধ্যে ৫১টি মাস্টার্স, চারটি ডিপ্লোমা, সাতটি সার্টিফিকেট ও চারটি ট্রেনিং কোর্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্সের বাইরে ১০৫টি ব্যাচে এসব কোর্সে ৭ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তাদের ক্লাস নেন ৭২৫ জন শিক্ষক।

পর্যালোচনা কমিটি বলেছে, এসব কোর্সে ভর্তির নির্ধারিত ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয়টি কোনো কোনো বিভাগ ও ইনস্টিটিউট পরিচালিত কোর্সে অনুসরণ করা হয় না। ভর্তি পরীক্ষায় সমন্বয়ক হিসেবে ইএমবিএ ছাড়া অন্যসব কোর্সে অনুষদের ডিনদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-উপস্থিতিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নগণ্য। স্বল্প উপস্থিতির জন্য নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উপাচার্যের অনুমতি লাগে, কিন্তু এটা মানা হয় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। সান্ধ্য কোর্সের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, টেবুলেশন ইত্যাদি সব কাজই সংশ্লিষ্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতরের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাছাড়া এসব কোর্সের কাজের সম্মানীর হার বিদ্যমান হারের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিভাগের নিজস্ব সিদ্ধান্তে পরিচালিত।

সর্বশেষ খবর