বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কোন্দল কাটিয়ে দল পুনর্গঠন করাই লক্ষ্য

------- ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, আহ্বায়ক ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি

কোন্দল কাটিয়ে দল পুনর্গঠন করাই লক্ষ্য

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির নয়া আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘এ জেলার পাঁচ উপজেলায় বিএনপির ১২টি ইউনিট রয়েছে। ইতিমধ্যে সব ইউনিটেই গিয়ে আমরা মিটিং করেছি।

নেতাদের বক্তব্যও নিয়ে এসেছি। এখন এসব ইউনিটে সব ধরনের কোন্দল কাটিয়ে দল পুনর্গঠন করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’ আগামী দুই মাসের মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপি একটি শক্ত সাংগঠনিক জেলা হিসেবে রূপ নেবে বলে মনে করেন ডা. লিটন। তিনি বলেন, ‘আগে নেতৃত্ব ঘর থেকে দিয়ে দেওয়া হতো। এখন ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হবেন। কর্মীদের মতের প্রতিফলন ঘটবে।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘরে বসেই সব ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। ইউনিট-প্রধানদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জেনেই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলন করা সম্ভব হবে না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সব ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে দেওয়া হবে।’ কোন্দল নিরসনের জন্যই কিছুটা সময় লাগছে জানিয়ে ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন আরও বলেন, ‘হুট করে কমিটি দিলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল শেষ হবে না। আমরা চাচ্ছি একটি ভালো কমিটি করতে। সময়ের ব্যবধানে কোন্দলও কমে আসছে। কর্মীদের আরও চাঙ্গা করতে দলীয় কার্যালয়টিকেও নতুন চেহারায় আনা হচ্ছে।’

ডা. লিটন বলেন, ‘সরকারের দমন-নিপীড়নের পরও কমিটি গঠন নিয়ে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে তৃণমূলে। হাজারো নেতা-কর্মী মামলা উপেক্ষা করে দক্ষিণের রাজনৈতিক মাঠ সরগরম করে রেখেছেন।’ তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ওপর দেওয়া এই গুরুদায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করতে পারব। কারণ আমাদের অনেক যোগ্য ও গ্রহণযাগ্য নেতা রয়েছেন। একাধিক নেতা দায়িত্ব নিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানেও রয়েছেন।’ তাই আমরা নেতৃত্ব যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ পাচ্ছি এবং যথাযথ নেতৃত্বকেই আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব করা হবে বলে উল্লেখ করেন এই আহ্বায়ক।

সর্বশেষ খবর