শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি - চুয়াডাঙ্গা

ঘর গোছানোয় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে থাকছে বিএনপি

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার রাজনীতিতে বড় দুই দলেই কম-বেশি অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। বিরোধীদের অনৈক্যের সুযোগে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ঘর গোছানোয় ব্যস্ত। আর বিএনপির নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড- নেই। দলের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। নিজেদের মধ্যে থাকা ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে কাজ করছেন দলীয় নেতারা।

চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনই আওয়ামী লীগের              দখলে। নানা কারণে দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। গড়ে ওঠে নিজ নিজ বলয়। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি নিয়েও সে সময় অনেক নেতা-কর্মী অসন্তোষের কথা বলেন। দুই পক্ষেই বিভেদ বাড়ে। প্রায় এক দশকের দূরত্বের পর এক কাতারে আসেন দুই এমপি। ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়ায় জেলা আওয়ামী লীগ। বর্তমানে এক মঞ্চেই বসছেন দুই এমপি। জেলার রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে দুজনই কাজ করছেন একসঙ্গে। এতে অনেক ত্যাগী নেতা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে দূরত্ব কমলেও নির্বাচনের পরপরই এর অঙ্গ সংগঠনে নতুন করে ফাটল দেখা দেয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও উপজেলা নির্বাচনে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নামেন। এতে সাধারণ কর্মীরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন। গ্রুপিংয়ের কারণে দীর্ঘদিন নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নিজেদের অনৈক্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন দলের অনেকেই। সেসময় থেকেই মূলত এক কাতারে বিএনপিকে দেখতে কাজ শুরু করেন কেউ কেউ। জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা চালান তরুণ কিছু নেতা-কর্মী। ঐক্যের প্রশ্নে অঙ্গ সংগঠনগুলো থেকে বারবার তাগিদ আসতে থাকে। একপর্যায়ে কিছুটা বাধ্য হয়েই একমঞ্চে বসতে শুরু করেন বিভক্ত নেতৃবৃন্দ। তবে তারপরও রয়েছে টানাপড়েন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর কেন্দ্র ঘোষিত সব আন্দোলন-সংগ্রামে জেলা বিএনপির তিনটি গ্রুপ আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করতে থাকে। ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে গ্রুপিং প্রকাশ্যে চলে আসে। মাঠ গোছানোর পরিবর্তে বিএনপি নেতারা এ সময় মনোনয়ন যুদ্ধের দিকেই বেশি মনযোগী হয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় নেতারাও একাধিক নেতাকে মনোনয়ন দিতে বাধ্য হন। জেলার দুটি আসনেই পরাজিত হয় বিএনপি। এ অবস্থায় নির্বাচনে পরাজিত জেলা বিএনপিকে চাঙ্গা করতে দীর্ঘদিনের পুরনো আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। গঠন করা হয় নতুন আহ্বায়ক কমিটি। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুকে আহ্বায়ক করা হয়।

সর্বশেষ খবর