শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের অনিশ্চয়তায়

ভাগ্য নির্ধারণী জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক দ্বিতীয় দফায়ও শেষ মুহূর্তে স্থগিত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বারবার আশার আলো জ্বললেও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না। কথা ছিল শ্রম বাজারের ভাগ্য নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার ঢাকায় বসবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই হিসেবে নেওয়া হয়েছিল সব প্রস্তুতি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীও ঢাকায় এসে দুই দিন আগেই শুনিয়ে গিয়েছিলেন আশার কথা। কিন্তু দ্বিতীয় বারের মতো শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল সব। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের হঠাৎ পদত্যাগের কারণে স্থগিত হয়ে গেছে আজকের বৈঠক।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকের বিষয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়। যা সবশেষে স্থগিত করা হয়। তবে পরবর্তী যে কোনো সময়ে আবারও বৈঠক হবে বলে আমরা আশা করছি। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। এরপর বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ কূটনৈতিক উপায়ে দেশটিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে কয়েক দফা মালয়েশিয়া সফর করেন এবং দুই দেশ মিলে গঠন করে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি। গত বছরের ৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বাংলাদেশের সাত সদস্যের এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান তার দেশের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ওই বৈঠকে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির পরের দফা আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ সময়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখিয়ে বৈঠক স্থগিত করে মালয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত আজ বুধবার হওয়ার কথা ছিল বহু প্রতীক্ষিত সেই বৈঠকটি। এ নিয়ে গত রবিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের মধ্যে ঢাকায় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রীই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জন্য শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হচ্ছে। তবে কোন পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে তা নির্ধারণ হবে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। ২০১৬ সালে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ। এ পদ্ধতিতে পাঁচ খাতে কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি কর্মী যায় মালয়েশিয়া।

তবে এ চুক্তির আওতায় মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে নানা সমালোচনার পর ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।

সর্বশেষ খবর