শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পিয়াজ-রসুনের দাম কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও দিনাজপুর প্রতিনিধি

পিয়াজ-রসুনের দাম কমেছে

বাজার দর

ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পিয়াজ ২০ টাকা কমে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত রসুন বাজারে আসায় মোটা দাগে এর দাম কমেছে। এদিকে, ভারতের পিয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবর ছড়িয়ে পড়লে দিনাজপুরে সুখসাগর জাতের দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা মিয়ানমারের পিয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশীয় মুড়িকাটা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া ভারতীয় কিছু পিয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও এসব পিয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমাদনি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতের রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবর শুনেছি। কিন্তু এখনো ভারত থেকে পিয়াজ আমদানির বিষয়ে কোনো কাগজ-পত্র আসেনি। তবে যখনই  কাগজপত্র পাওয়া যাবে, সেদিন থেকেই আমদানি শুরু হবে। সকালের দিকে আদেশ হলে সেদিনই বিকালে অথবা পরের দিন এ স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি শুরু হবে। আগামী রবিবার বা সোমবার থেকে পিয়াজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে পিয়াজ নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতার অনেকটাই কেটের যাবে। গতকাল রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী বাজার, সেকশন ৬ বাজার ও মুসলিম বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ভালো মানের দেশি পিয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০-১২০ টাকা। আর আমদানি করা চীনা রসুনের বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২১০ টাকা। এ হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এ হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ৭০ টাকা। কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-১০০ টাকা। বরবটির কেজি ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ৩০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম কমে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে গত সপ্তাহের মতো ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৬০ টাকা। ভালো মানের শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। ফুলকপি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। শালগম বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে বেগুন, মুলা, কাঁচা মরিচও। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুলার দাম কমে ২০-২৫ টাকা হয়েছে। ৬০-৭০ টাকার বেগুনের দাম কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-৩০ টাকা। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি ২২০-৫০০, তেলাপিয়া ১৩০-১৭০, শিং ৩০০-৪৫০, শোল ৪০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, টেংরা ৪৫০-৬০০ ও নলা মাছ ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি ২৩০-২৪০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৫৫০-৫৭০ এবং খাসির মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শাহ আলী বাজারের ব্যবসায়ী কাজল জানান, ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের আদেশ তুলে নিয়েছে। এ কারণে দাম কমেছে সব ধরনের পিয়াজের। আর দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়ায় এর দাম কমেছে। অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে চীনা রসুনের দাম ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়ে গিয়েছিল। এখন বাজারে প্রচুর নতুন দেশি রসুন আসছে। এ কারণে সব ধরনের রসুনের দাম কমেছে। মুসলিম বাজারের কাঁচা সবজির ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, এবার শীতের ভরা মৌসুমে সবজির দাম বেশি ছিল। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সবজির দাম এখন যে দামে আছে এর থেকে কমার সম্ভাবনা খুব কম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর