শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য পরামর্শ

ব্রেনের জন্য ক্ষতিকর যেসব খাবার

প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রেনের সুস্থতা জরুরি। আর এজন্য জরুরি আমরা কী খাচ্ছি আর কেন খাচ্ছি- তা জানা। কারণ ব্রেনকে সুস্থ রাখে কোন কোন খাবার, আর কী কী খেলে তা ব্রেনের ক্ষতি করে- তা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ব্রেনকে সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। এক. মাছ আমরা অনেকেই খুব ভালোবাসি। মাছে থাকা লো স্যচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-বি ১২, আয়রন, জিঙ্ক  খুবই প্রয়োজনীয়, এটা ঠিক। তবে এমন কিছু মাছ আজকাল আমরা বেশ ফ্যাশন করেই পাতে তুলে নেই, যা আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই করে বেশি। যেমন টুনা বা ম্যাকরেল, কখনো আবার কেউ কেউ বড় বড় ফুডকোডে গিয়ে পাতে সাজিয়ে নেন হাঙর দিয়ে তৈরি কোনো পদ বা টাইল ফিশে তৈরি কোনো পদ। কিন্তু ব্রেন সুস্থ রাখতে হলে এগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এই প্রাণীগুলো অন্য ছোট ছোট মাছ খায়, এতে এদের শরীরে তৈরি হয় বেশ কিছু পারদ। তাই আমাদের ব্রেনের জন্য ক্ষতিকর। ব্রেনের এবং নার্ভের মধ্যে যে যোগাযোগ, তাতে সমস্যা করে এই পারদ। তাই এ জাতীয় মাছ এড়িয়ে চলতে হবে। দুই. প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপরই অনেকের দুনিয়া চলে। কিন্তু চটপট হাতে পেয়েই মুখে দিচ্ছেন যেসব খাবার, তাতে প্রচুর পরিমাণে প্রিসার্ভেটিভ, লবণ ও চিনি জাতীয় পদার্থ থাকে। এ জাতীয় খাবার সবসময়েই আমাদের শরীরের কোনো না কোনো অংশতে বেশি করে ফ্যাট জমাতে থাকে। তাতে ব্রেনের কাজ করতে সমস্যা হয়, ব্রেন এবং রক্তের যে সম্পর্ক, তা প্রভাবিত হয় অনেকটাই। তাই নিজের রান্না খাবার সবচেয়ে উত্তম। তিন. ভরসা রাখবেন না প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর। গুড ফ্যাট আর ব্যাড ফ্যাট কী- তা যদি জেনে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় জানেন সাধারণত অ্যাভোকাডো, বাদাম জাতীয় খাবার, ডিম, মাছ গুড ফ্যাটের উৎস। তবে রেড মিট, যে কোনো ডেয়ারি প্রডাক্ট- যে ফ্যাট দেয় আমাদের শরীরকে, তাতে কিন্তু ব্যাড ফ্যাটও থাকে। এগুলো আসলে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাটে মূলত হাইড্রোজেনেটেড অয়েল অনেক বেশি থাকে। আর এই হাইড্রোজেনেট অয়েল দিয়েই কিন্তু কেক, চিপ্স, মার্জারিন তৈরি হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই তেল যার শরীরে যত বেশি গেছে, তার ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের প্রবণতা তত বেড়েছে। এই তেল ব্রেনের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই এড়িয়ে চলুন এগুলো। চার. কার্বোহাইড্রেট সাধারণত আমাদের শরীরের ফুয়েল দেয়। আমরা এনার্জি পাই কার্বোহাইড্রেট থেকেই। কিন্তু রিফাইন্ড কার্ব খুবই ক্ষতিকর। যখনই কোনো কার্বোহাইড্রেট রিফাইন করা হয়, তখনই তার অনেক গুণ চলে যায়। চিনিও কার্বোহাইড্রেট। যে কোনো মিষ্টিই যখন খাচ্ছেন, তখন তাও আপনার জন্য কতটা ঠিক-  দেখে খেতে হবে। ময়দা স্বাদে মিষ্টি না হলেও তাও কিন্তু রিফাইন্ড কার্ব। তাই সাদা পাউরুটি, টর্টিলা ইত্যাদি এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে থাকা মাত্রাতিরিক্ত গ্লাইসেমিক ব্লাড সুগারের ওপর প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি কমে যায়। যেসব শিশু কার্বোহাইড্রেট বেশি খায়, তারা দেরিতে কথা বলে বাকি বাচ্চাদের তুলনায়। তাই শিশুদের কী খাওয়াচ্ছেন  তাও নজরে রাখুন। মনে রাখতে হবে, যে কোনো খাদ্যাভ্যাসই নিজের মতো করে পরিবর্তন করতে গেলে সমস্যা হয়। তাই প্রথম সাত থেকে আট দিন একটু কষ্ট করে যদি নিয়ম মেনে চলা যায়Ñ তাহলে মুশকিল আসান হয় অনেকটাই। দেরি না করে তাই আজ থেকেই লেগে পড়ুন, নিয়ম মেনে চলুন, আর ব্রেনকে সুস্থ রাখুন।

সর্বশেষ খবর