রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

ফরিদপুরে মাঠজুড়ে শুধুই পিয়াজ

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরে মাঠজুড়ে শুধুই পিয়াজ

ফরিদপুরে এ বছর রেকর্ড সংখ্যক জমিতে আবাদ হয়েছে পিয়াজ। কয়েক বছর ধরে পিয়াজের আবাদ করে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। ফলে গত বছর মুখ ফিরিয়ে নেয় জেলার অনেক কৃষক। এ বছর পিয়াজের মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা ফের পিয়াজ আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে ফরিদপুরের মাঠজুড়ে শুধুই পিয়াজ আর পিয়াজ। এখন মাঠে রয়েছে হালি পিয়াজ। কৃষকরা পিয়াজ খেতে পরিচর্যার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। জেলায় মুড়িকাটা, দানা এবং হালি পিয়াজের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। মুড়িকাটা ও দানা পিয়াজের আবাদ শেষ হয়ে এখন আবাদ করা হয়েছে হালি পিয়াজের। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিয়াজ আবাদ হয়ে থাকে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায়। নগরকান্দার কৃষক সলেমান শেখ, লোকমান হোসেন, ফরিদ মিয়া জানান, দেশে যে পরিমাণ পিয়াজ উৎপাদন হয় তার সিংহভাগই ফরিদপুর জেলায় উৎপাদিত হয়। বর্তমানে পিয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় তারা বেশ খুশি।

তারা জানান, গত বছর এ সময় তারা প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি করেছেন ২০-২৫ টাকায়। এ বছর বিক্রি করছেন ৮০-৯০ টাকায়। এ বছর যেভাবে পিয়াজের দাম পেয়েছেন এতে করে তারা বেশ লাভবান হয়েছেন। সালথা উপজেলার পিয়াজচাষি কুব্বাত মাতুব্বর জানান, ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি করায় কয়েক বছর ধরে তারা পিয়াজ আবাদ করে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। ফলে অনেক চাষি পিয়াজ আবাদে আগ্রহ হারিয়েছেন। এ বছর পিয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় তারা ফের পিয়াজ আবাদে নজর দিয়েছেন। ফরিদপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অনেকেই লোকসানের কারণে পিয়াজ আবাদ করেননি। এ বছর বিপুল পরিমাণ জমিতে পিয়াজের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে খেতে রয়েছে হালি পিয়াজ। যারা আগে বুনেছেন তারা ইতিমধ্যেই পিয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। ফরিদপুর জেলায় এ বছর ৩৮ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে পিয়াজের আবাদ হয়েছে, যা থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার টন পিয়াজ উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

সর্বশেষ খবর