শিরোনাম
রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের শিশু-কিশোররা অত্যন্ত মেধাবী। সেই মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে চাই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে আমাদের শিশু-কিশোরদের দূরে রেখে ধীরে ধীরে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) টুর্নামেন্ট দুটির ফাইনাল ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পরিম লে সব ধরনের প্রতিযোগিতার উপযুক্ত নাগরিক আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা গড়ে উঠবে। সেভাবেই প্রতিটি ছেলেমেয়েকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। এই খেলাধুলার মাধ্যমে আজকের ছেলেমেয়েরাই আগামী দিনে পৃথিবীতেও একটা স্থান করে নিতে পারবে।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছি ১৭ মার্চ থেকে। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এ মুজিববর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। এ সময়ে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে সম্মান পেয়েছি। একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। আমাদের পরিচয় পেয়েছি। ছোট জীবন থেকেই তিনি এদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং ছাত্রজীবনে তিনিও কিন্তু একজন ফুটবলার ছিলেন। আমার দাদাও ফুটবল খেলতেন। আমার ভাইয়েরা ফুটবল খেলতেন। আমার নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। আজকে ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অগ্রগতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।

 স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্রীড়া ক্ষেত্রটাকে আরও প্রসারিত করতে এবং আমার ভাই শেখ কামাল-শেখ জামালসহ সবাই এই ক্রীড়ার সঙ্গে অত্যন্ত সম্পৃক্ত ছিল। নিজেকে একজন স্পোর্টস ফ্যামিলির সদস্য হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, আমাদের দেশটাকে এগিয়ে যেতে হবে। আর খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এটাতে বারমাস খেলাধুলা চলতে পারবে, সেই সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি।  প্রাথমিক থেকে আজকে আমরা যে জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে পারলাম পাশাপাশি আমরা এখন আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করছি। তাই খেলাধুলার মাধ্যমে আজকের ছেলেমেয়েরাই আগামী দিনে পৃথিবীতেও একটা স্থান করে নিতে পারবে, সেই আশা করি।

ফুটবলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল হচ্ছে সব থেকে জনপ্রিয় খেলা। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। ফুটবল এগিয়ে যাক। এটাই আমরা চাই। আজকে যারা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ হয়েছে, আমি আশা করি ভবিষ্যতে অন্য যারা অংশগ্রহণ করবে তারাও একদিন চ্যাম্পিয়ন হবে, রানার্স আপ হবে।

মেয়েদের ফুটবল খেলার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এর আগেও খেলা দেখেছি। এবারের খেলাও আমি দেখলাম। যদিও মেয়েদের খেলাটা দেখেছি, ছেলেদেরটা দেখতে পারিনি। আমার মনে হয়, ছেলেদের খেলাটাও দেখতে আসা উচিত ছিল। আগামীতে আমি চেষ্টা করব, দুটোই যাতে দেখতে পারি। তিনি বলেন, আজকে আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত চমৎকার খেলেছে এবং এজন্য সত্যি খুবই আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনূর্ধ্ব যে দলগুলো থেকে যারা উঠে আসছে, এরাই তো একদিন আগামীতে আমাদের জাতীয় খেলাগুলোতে খেলবে এবং সেখানে আমাদের খেলার উৎকর্ষকতাও অনেক অনেক বৃদ্ধি পাবে। 

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন।

সর্বশেষ খবর