সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি ঠাকুরগাঁও

বিএনপির দুর্গ হলেও এখন আওয়ামী লীগের দখলে

আবদুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগ ও একটি বিএনপির দখলে। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর। সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের সমর্থনপুষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাদেক কুরাইশী সভাপতি হন। শীর্ষ পদগুলো জেলার পরিচিত ও ত্যাগী নেতাদেরই দেওয়া হয়েছে। এতে এক গ্রুপ একটু বেশি খুশি হলেও অন্য গ্রুপটি অনেকটাই কোণঠাসা। জেলার রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও দল ক্রমেই সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলার রাজনীতির মাঠ এখন পুরোটাই আওয়ামী লীগের দখলে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। মির্জা ফখরুলের নিজ জেলা বিএনপি অধ্যুষিত এই অঞ্চলটি যেন এখন আওয়ামী লীগের দুর্গ। একসময় এ জেলা ছিল বিএনপির দুর্গ। দীর্ঘদিন বড় ধরনের কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি না থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছিল পুরো দল। বিএনপির নেতারা জানান, আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই তারা ক্লান্ত। ফলে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ঠিকমতো তারা মনোনিবেশ করতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার জন্য তাদের পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে মাঝে-মধ্যে তারা অনুমতি ছাড়াও ঝটিকা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের সব কর্মসূচি শহরের একটি সড়কে এবং তাদের দলীয় কার্যালয়েই সীমাবদ্ধ থাকছে। সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী (ইদু চৌধুরী) মন্ত্রী থাকাকালে ঠাকুরগাঁওয়ে খুবই প্রতাপশালী ছিল জাতীয় পার্টি। বর্তমানে এখানে তাদের অবস্থান খুবই নাজুক। জাতীয় পার্টির জেলার শীর্ষ একজন নেতা বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় এখানে জাতীয় পার্টির অবস্থা হয়ে পড়েছে আরও নাজুক। ঠাকুরগাঁওয়ে বাম রাজনীতির কর্মকান্ড অনেকটাই স্থবির। এদের একটি অংশ বর্তমান সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যুদ্ধাপরাধে জড়িত নেতাদের বিচারের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও জামায়াত হিংস্রতা দেখালেও ২০১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে এখন পর্যন্ত মাঠে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে জামায়াত অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডে।

সর্বশেষ খবর